পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশের মানুষ সুবিচার পাচ্ছে না দাবী করে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনিপ’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি, যখন কেউ সুবিচার পাচ্ছে না। যে দেশের বিচারককে রায় দেওয়ার কারণে দেশ ছাড়তে হয়, সে দেশে কেউ বিচার পাবে তা বলা যায় না। সুতরাং ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কি রায় হতে পারে তা আগেই অনুমান করা যায়। এর জন্য খুব বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের বৃহত্তর আন্দোলনের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার কাজ চলছে। যথা সময়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে। প্রেসক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবির সঙ্গে বাম সংগঠনগুলোর দাবি দাওয়া, চরমোনাই পীর সাহেবের দাবি-দাওয়া এক হওয়ায় এমন একসময় আসবে, যখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হবো।
বিএনিপ’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গ্রেনেড হামলার বিষয়ে সুবিচার করার সুযোগ যদি কখনও হয় তাহলে অবশ্যই সুবিচার করা হবে। ২১ আগস্টের মামলায় সুবিচার তো আমাদের নেত্রীই প্রথম চেয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য শুধু দেশীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, ইন্টারপোলের প্রতিনিধি আনা হয়েছিল। হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে আমরাই গ্রেফতার করেছিলাম। যদি বিএনপি এ বিষয়ে জড়িত থাকতো তাহলে তো মুফতি হান্নানকে সরিয়ে দিলেই হয়ে যেত। বন্দি করে রাখার প্রয়োজন ছিল না। আমরা বুঝতে পারিনি আওয়ামী লীগ কোনোদিন এভাবে মুফতি হান্নানকে ব্যবহার করবে। তাই সুবিচারের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছিলাম।
এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দাবি করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। তারা যেভাবে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে, সেভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করা যায় না এটা জানার পরও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করেছেন। আমরা যা কিছু করেছি সব প্রকাশ্যে করেছি। আর এই সরকারের আমলে আইনে নেই কিন্তু সবকিছু করা হচ্ছে। এই অবস্থা মোকাবিলা করতে আমাদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ড. কামাল হোসেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করেছিল আওয়ামী লীগ। অথচ তিনি এখন খারাপ হয়ে গেছে। মাহমুদুর রহমান মান্না, আ.স.ম. আবদুর রব সবাই তাদের লোক ছিল। কিন্তু তারা এখন আওয়ামী লীগের কাছে খারাপ হয়ে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগের খারাপ কাজগুলো পছন্দ করতে না পেরে তারা সবাই সেখান থেকে বের হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, একটি দলের নেতা বলেছেন বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হোক। যে জাসদ নেতা এ কথা বলেছেন, তাদেরকেই একসময় সন্ত্রাসী বলেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের হত্যা করেছে ওই দলটি। কিন্তু এখন তারা সন্ত্রাসীও নেই। কোন সমস্যাও নেই। কারণ, তারা এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে।