বাম আমলে ধুঁকতে থাকা গ্রন্থাগারগুলো নতুন জীবন পেয়েছে : সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

বাম আমলে ধুঁকতে থাকা গ্রন্থাগারগুলো নতুন জীবন পেয়েছে : সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

পাথেয় ডেস্ক : বর্ধমান : গোটা রাজ্যের সরকার পোষিত গ্রন্থাগারগুলি কার্যত নতুন জীবন পেয়েছে। আমূল পরিবর্তন হয়েছে গ্রন্থাগারগুলির। এখন নতুন করে গ্রন্থাগারগুলিতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। গতবছরের তুলনায় এবছর গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। বেড়েছে বই পড়ার অভ্যাসও। সম্প্রতি বর্ধমানে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জনশিক্ষা প্রসার দপ্তর এবং গ্রন্থাগার দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক রিভিউ বৈঠক করতে এসে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই দাবী করেছেন। তিনি এদিন জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২০৯টি গ্রন্থাগারে যেখানে প্রায় ৪৫০ জন কর্মী থাকার কথা, সেখানে কর্মী রয়েছেন মাত্র ১৫০জন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত এই শূন্যপদ পূরণের চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৪জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রন্থাগারগুলিকে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শেষের পথে বলে তিনি জানিয়েছেন। বুধবার বর্ধমানে বর্ধমান পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের গ্রন্থাগার দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে রিভিউ বৈঠক করেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাম আমল থেকেই গ্রন্থাগারগুলিতে কর্মী শূন্যতা রয়েছে। বাম আমলে গ্রন্থাগারগুলি ধুঁকছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেগুলিকে নবজীবন দেওয়া হয়েছে। এখন গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠকের হার অনেক বেড়েছে। গ্রন্থাগারের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় রেফারেন্স বই দেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭৭টি স্কুলকে এব্যাপারে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রন্থাগারগুলিতে এখন চাকরীর, ডবলু বি সি এস পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বিবিধ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় জনশিক্ষা প্রসার দপ্তরের উদ্যোগে একটি মহিলাদের হোম তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা এলে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন। এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যের সমস্ত গ্রন্থাগারগুলির হিসাব নিকাশকে কড়াভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই দপ্তরেও সমস্ত কাজ সিংগল টেণ্ডারের পরিবর্তে ই-টেণ্ডার করার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারী গ্রন্থাগারগুলির পাশাপাশি সরকারী অনুদান প্রাপ্ত গোটা রাজ্যের ১৪৫০ গ্রন্থাগারকে চলতি বছরে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে।


সূত্র : পূর্ব বর্ধমান নিউজ
তথ্য সংগ্রহ : আবদুল্লাহ শাকির

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *