বেফাকের শোকবার্তা কি শুধুই উপরতলার বাসিন্দাদের জন্য?
নোমান বিন আরমান :: দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হলো বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেফাকের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সুচিন্তিত হবে এমনটাই প্রত্যাশিত।
কিন্তু কখনো কখনো বেফাকের কর্মকাণ্ড বিতর্ক তৈরি করে। প্রশ্নের জন্ম দেয়। এরকমই একটি বিষয় হলো বেফাকের ‘শোক জ্ঞাপন’।
সদ্য বিদায়ী বছরের ১৮ ডিসেম্বর বেফাকের ফেসবুক পেজ থেকে একটি শোকবার্তা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের মৃত্যুতে ‘সচিত্র শোক’ জানায় প্রতিষ্ঠানটি। ওই শোকে সম্পৃক্ত করা হয় হাইয়াতুল উলইয়াকেও।
তাদের এই শোক জ্ঞাপন একেবারেই অভিনব মনে হয়। ইতোপূর্বে কারও মৃত্যুতে বেফাক শোক জানিয়েছে- এমন নজির (জানা) নেই। তাই এই শোক জানানোতে মনে হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানটি সম্ভবত ‘সামাজিকতা’ চর্চা শুরু করেছে। কিন্তু এই মনে হওয়া বেশি দূর যেতে পারেনি।
৩১ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন বেফাকেরই সিনিয়র সহ-সভাপতি ও হাইয়ার কো-চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী (রাহ.)। কিন্তু তাঁর ইন্তেকালে বেফাকের শোকবার্তা চর্চার দেখা মিললো না। পেজে অবশ্য সাদামমাটাভাবে তার মৃত্যুর খবরটি প্রচার করেছে তারা। ৫ জানুয়ারি বেফাকের সহ-সভাপতি, দেশের শীর্ষ আলেম শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (রাহ.) ইন্তেকাল করেন। এবারও বিস্ময়করভাবে নিরব বেফাকের পেজ। শোক জানানো দূরের কথা, মৃত্যুর খবরটি পর্যন্ত পেজে দেয়নি বেফাক।
এতে প্রশ্ন জাগে, বেফাকের ফেসবুক পেজ কারা চালায়, কাদের নির্দেশনায় কাদের জন্য শোক জানানো হয়?
লেখক : সাংবাদিক
মতামত একান্তই লেখকের