ভোটের দুদিন পর ১২ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান

ভোটের দুদিন পর ১২ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ভোটের দুদিন পরই জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধামন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। শনিবার রাওয়ালপিন্ডির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১২টি মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

এছাড়াও এ সংক্রান্ত ১৩টি মামলায় জামিন পেয়েছেন পিটিআইয়ের প্রভাবশালী নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

ইমরান খানকে যে মামলাগুলোতে জামিন পেয়েছেন তার মধ্যে সেনা সদর দপ্তর ও সেনা জাদুঘরে হামলা সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। জামিন প্রাপ্ত ১২টি মামলার জন্য ১ লাখ রুপির মুচলেকায় স্বাক্ষরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জামিন আবেদনের শুনানি করেন এটিসির বিচারক মালিক এজাজ আসিফ। তিনি বলেছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তারে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। ৯ মে মামলার সকল আসামি জামিনে আছেন।

ইমরান ও কুরেশিকে ৬ ফেব্রুয়ারি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিচারককে জানিয়েছিলেন, তাকে ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ইমরানের বিরুদ্ধে ৯ মে সহিংসতা সম্পর্কিত একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। পরে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই সহিংসতা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রাওয়ালপিন্ডিতে নথিভুক্ত মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের (জিএইচকিউ) ফটকে হামলা, একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের অফিসে দাঙ্গা এবং অন্যান্য।

তিনি মামলার প্রথম তথ্য প্রতিবেদনে (এফআইআর) উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে আদিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পিটিআই নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকে জিএইচকিউ-তে হামলা সংক্রান্ত একটি মামলায় পাঞ্জাব পুলিশ জেল থেকে বের করেছিল।

গত বছরের জুলাই মাসে একটি উচ্চ-স্তরের যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) ৯ মে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনা তদন্ত করে জিএইচকিউতে হামলাসহ দুটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

মামলাগুলোতে নতুন ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও সহিংসতার উসকানি দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *