মক্কা-মদিনায় তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদে কুরআনের খতম

মক্কা-মদিনায় তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদে কুরআনের খতম

মক্কা-মদিনায় তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদে কুরআনের খতম

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্ব অচল। অধিকাংশ দেশের মসজিদে নামাজ বন্ধ রয়েছে। শর্তসাপেক্ষে হারামাইন কর্তৃপক্ষ স্বল্প পরিসরে মক্কা-মদিনায় জামাআত, জুমআ, তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদ চালু রেখেছে।

২১ মে (বৃহস্পতিবার) ২৯ রোজার প্রস্তুতির তারাবিহ নামাজ এবং তাহাজ্জুদে পবিত্র কুরআন খতম হয়েছে। কুরআন খতমের রাতে মক্কা-মদিনার মুসল্লিদের নামাজের দৃশ্য ক্যামেরায় ভেসে ওঠেছে।

পবিত্র নগরী মক্কার কাবা শরিফ চত্বরের মাতআফে অনুষ্ঠিত হয় তাহাজ্জুদ। আর মদিনার মসজিদে নববির রিয়াজুল জান্নায় অনুষ্ঠিত হয় এ নামাজ।
মক্কা ও মদিনায় রমজানের প্রতি রাতেই তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ অনুষ্ঠিত হতো। মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার ২০ রমজান পর্যন্ত সন্ধ্যা রাতে ১০ রাকআত তারাবিহ আদায় করার সিদ্ধান্ত দেয় কর্তৃপক্ষ।

আর শেষ দশকে ১০ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুরো নামাজে পবিত্র কুরআন খতম সম্পন্ন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে হারামাইন কর্তৃপক্ষ।

সে সিদ্ধান্তের আলোকেই ২৯ রোজার প্রস্তুতির তারাবিহ অনুষ্ঠিত হওয়ার রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমেই দুই পবিত্র মসজিদ মক্কার মসজিদে হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববি কুরআনুল কারিমের খতম সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য অন্যান্য বছর কাবা শরিফ এবং মসজিদে নববিতে ২০ রাকাআত তারাবিহ অনুষ্ঠিত হতো। আবার প্রতি রাতেই অনুষ্ঠিত হতো তাহাজ্জুদ নামাজ। এবার মহামারি করোনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে স্বল্প পরিসরে ইমাম, মুয়াজ্জিন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও দায়িত্বশীলদের নিয়ে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ চালু রাখা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *