মর্গে লাশের দরদাম | আবুদ্দারদা আব্দুল্লাহ

মর্গে লাশের দরদাম | আবুদ্দারদা আব্দুল্লাহ

মর্গে লাশের দরদাম | আবুদ্দারদা আব্দুল্লাহ

হুড়মুড় করে বৃষ্টি নেমে গেল। এতো আগে যে বৃষ্টি নেমে যাবে তা কল্পনাই করতে পারেননি আলিমুদ্দীন। আকাশ অন্ধকার হওয়ার পর সাধারণত বিশ পঁচিশ মিনিট পরে বৃষ্টি শুরু হয় কিন্তু আজকেই বোধহয় এতো তাড়াতাড়ি বৃষ্টি নেমে গেল। নদীর পারে টাবুরি নৌকা ভিড়ানো। আলিমুদ্দিন তার ছোট মেয়েটাকে তাড়া দিলেন, এই সিফু, তাড়াতাড়ি হাঁট। বৃষ্টিতে ভিইজ্যা ভিইজ্যা গেলে পরে অসুখ করবে নে, তাড়াতাড়ি হাঁট। সমস্যা হলে স্যান্ডেল খুলে হাতে নে। আলিমুদ্দিন দ্রুত হাঁটছেন। মেয়েটা তার হাঁটার সাথে কুলিয়ে উঠতে পারে না। বাপের সাথে তাল মেলানোর জন্য সিফু মাঝেমধ্যে দৌড় দিচ্ছে, তবুও কাজ হয় না। সিফু পিছনেই পড়ে থাকে। চোরা কাঁটায় আলিমুদ্দিনের লুঙ্গিটার নীচে ভরে গেছে। পা চুলকাচ্ছে তবুও উপায় নেই। নৌকায় উঠতে উঠতেই আলিমুদ্দিন আর তার ছোট মেয়ে প্রায় আধাভেজা হয়ে গেলেন। তবুও স্বস্তি, পুরো শরীর তো আর ভিজেনি। টাবুরি নৌকা সাধারণত পাঁচ ছয়জন ছাড়া যায় না। যাত্রী হয়েছে কেবল দুইজন।

আলিমুদ্দিন আর তার মেয়ে সিফু। ছয়জন ছাড়া মাঝির পোষাবে না কারণ টাবুরি নৌকার চল উঠে গেছে। এই কারণে আলিমুদ্দিন তাড়াও দিতে পারছেন না আবার তার বাস স্টেশনেও আগে আগে পৌঁছাতে হবে। ঢাকায় যা্ওয়ার বাস আর নেই। খাল বিল কচুরিপানায় ভরে গেছে। আগে যখন বিশ পঁচিশটা নৌকা চলতো তখন চলাচলের কারণে কচুরিপানার আধিক্য ছিলো না। কিন্তু এখন টাবুরি নৌকা এক দুইটা থাকার কারণে কচুরিপানা জমে থাকে। নৌকা চালানো খুব কষ্টকর হয়ে যায় মাঝিদের জন্য। যারা এতদিন টাবুরি নৌকা চালিয়েছে তারা এখন ভ্যান কিনেছে কেউ ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছে। দিনদিন এখন টাবুরি নৌকা শখের বস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এই সব দিক বিবেচনা করে ভাড়াটাও বেড়ে গেছে। দশ টাকার জায়গায় বিশ টাকা হয়ে গেছে। নদীটা না থাকলে এই টাবুরি নৌকাটাও থাকার কথা না।

ব্রিজ পাশ হয়ে গেছে। তারপর তো আর নৌকার অস্তিত্ব খুঁজেও পাওয়া যাবে না। নৌকার মাঝি উদাস মনে বিড়ি টানছে। আলিমুদ্দিনের পরিচিত মাঝি। শামছু নাম। আলিমুদ্দিন শামছুর কাছ থেকে গামছা নিয়ে নিজের মাথাটা মোছা শেষ করে তারপর মেয়ের মাথাটাও মুছে দেয়। আলিমুদ্দিন গলুইয়ের উপর বসে পড়েন। দশ মিনিট কেটে যায়। মহামূল্যবান দশ মিনিট। বৃষ্টির গতি আরো বাড়ছে। শাঁ শাঁ বাতাস হচ্ছে। আলিমুদ্দিন শামছুর দিকে তাকিয়ে কাশি দেয়। শামছু উদাস মনে জিগ্যেস করে চাচা, ব্যস্ততা কি খুব বেশি?

আলিমুদ্দিন বলেন, হ অনেক বেশি। ঢাকার বাস ছাইড়া দিলে তো তিন ঘণ্টার আগে আর পাওয়া যাইবো না। তিন ঘণ্টা বইসা থাকা কি সম্ভব, কও?
শামছু মুখের আধা খাওয়া বিড়িটা ফেলে দিতে দিতে আর্তনাদ করে উঠে, আহা, আগে বলবেন না? মানুষের বিপদ আপদ আল্লাহর হাতে। তয় আমাদেরও তো চেষ্টা থাকা লাগবো, তাই না? নদীর পারে গেড়ে রাখা নৌকার লোহার খুটি উঠিয়ে আল্লাহ ভরসা বলে শামছু নৌকা ভাসিয়ে দেয়। বাঁশের লম্বা কাঠি দিয়ে পানিতে খোঁচা দিয়ে শামছু জিগ্যেস করে,

হঠাৎ এই বৃষ্টি বাদলার দিনে ঢাকা যাইতাছেন, ব্যাপারাটা কী?

উত্তর দেয়ার আগে আলিমুদ্দিন তার মেয়েটার দিকে তাকান। তারপর শামছুর দিকে তাকিয়ে বলেন, ক্যা, তুমি জানো না কিছু?

না চাচা, কই কিছুই তো জানি না।

আলিমুদ্দিন টাবুরি নৌকার চটের বেড়ায় পিঠ ঠেকিয়ে দিতে দিতে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, কি আর কমু, আমার মাইয়াটার লাশের খোঁজ পাওয়া গেছে। গতমাসে ঢাকায় যে বিল্ডিংডা ভাইঙা পড়লো সেই বিল্ডিংয়ে আমার বড় মাইয়া কাজ করতো। বিল্ডিংয়ের পাশে একলোকের কাছে আমার মাইয়ার একটা বড় ছবি দিয়া আসছিলাম। সেই লোকে আজকে ভোর রাইতে ফোন দিয়া ঢাকায় যাইতে কইলো। আলিমুদ্দিন আর কোন কথা বলতে পারেন না। বুকটা ভারী হয়ে আসে। ঠাণ্ডা শীতল বাতাস, নৌকার মাথার দিক দিয়ে ঝড়ের ঝাপটা আসছে। তারপরেও আলিমুদ্দিন ঘামে ভিজে ওঠে। পানির পিপাসা পায়, আজলা ভরে নদীর পানি পান করেন আলিমুদ্দিন। আজলা ভরে পানি তুলতে যেয়ে আলিমুদ্দিন কিছুটা কাত হয়ে পড়েছিলেন, আরেকটু হলেই নদীতে পড়ে যেতেন। শরীরটা দিন দিন আলগা হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রেশমা যেদিন নিখোঁজ হলো সেদিন থেকে।

রেশমাই ছিলো আলিমুদ্দিনের একমাত্র চালিকা শক্তি। রেশমার দশ হাজার টাকার উপার্জনে পুরো পরিবার চলেছে। দশ হাজার টাকা আজকালকার দিনে কিছুই না, একদম পান্তা ভাত। তারপরেও তো খারাপ চলেনি দিনকাল। সব আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। আলিমুদ্দিনের দুইটাই মেয়ে। কোন ছেলে নেই। ছোট মেয়েটা এ বছর এইটে পড়ছে। ঝড়ের গতিবেগ বাড়ছে। টাবুরি নৌকা ঝড়ের দাপটে হেলেদুলে উঠে। এই বুঝি উল্টে গেলো। শামছু প্রাণপণ চেষ্টা করে হাল ধরে। আলিমুদ্দিনের জন্য তার ভীষণ খারাপ লাগছে।শামছুর নিজের মেয়েটার কথা মনে পড়ে। সারাদিন মায়ের হাতে মেয়েটা মার খায়। মেয়েটা এই মুহূর্তে কি করছে? মার খাচ্ছে না তো আবার? শামছুর জানতে খুব ইচ্ছে করছে। শামছুর বুক থেকেও আলিমুদ্দিনের মতো গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়। চৈড়ে খোঁচা দিয়ে শামছু আল্লাহর কাছে ছোটখাট একটা প্রার্থনা করে, আল্লাহ পাক পরওয়ারদেগার, তুমি আমার মাইয়াডারে ভালো রাইখ্যো। আলিমুদ্দিন চাচার মতো আর কারো মাইয়ারে তুমি এভাবে আর নিওনা। আলিমুদ্দিন চাচারে তুমি ধৈর্য দাও, ধৈর্য দাও আল্লাহ।

খেয়াখাটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেশ দেরি হয়ে গেল। আলিমুদ্দিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ঢাকার বাসটা যদি চলে যায় তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। নৌকা থেকে নামতে নামতে আলিমুদ্দিন বুক পকেটের ভিতর থেকে ভিজে যাওয়া দুইটা দশ টাকার নোট শামছুর হাতে দেয়। শামছু বিনীত হয়ে আলিমুদ্দিনের দিকে তাকায়। আরে চাচা, রাখেন তো। আমারে আজকে টাকা দেওয়া লাগবো না। ঢাকা থেকে লাশ আনতে আপনার অনেক টাকা লাগবো। টাকাডা রাখেন, আপনার কাজে দিবো।

আলিমুদ্দিন তবুও জোর করে, কিন্তু শামছু নাছোড়বান্দা। খেয়াঘাটে ভালোবাসার একটা মধুর আদানপ্রদান হয়। শামছু তাড়া দেয়, চাচা, তাড়াতাড়ি বাস স্টেশন গিয়া দাঁড়ান। বৃষ্টি বাদলার দিনে বাস অনেক সময় লেট কইরা ছাড়ে। আলিমুদ্দিন দ্রুত পদে হাঁটা দেয়। ছোট মেয়েটাও বাপজানের পিছনে পিছনে দৌঁড়ায়। বৃষ্টি হচ্ছে ভালোই ভাগ্যিস শামছু তার ছাতাটা দিয়েছে। আলিমুদ্দিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় দশ মিনিট। ঢাকার বাসটা চলে গেছে নাকি এখনো স্টেশনে আসে নাই, কিছুই বুঝার কায়দা নেই। স্টেশনে কোন লোকজন নেই। প্রচণ্ড বৃষ্টি বাদলার দিনে কে-ই বা বের হবে?
বিশ মিনিট পরে ঢাকার বাসটা স্টেশনে এসে থামলো। আলিমুদ্দিন মেয়েকে নিয়ে বাসে উঠলেন। আলিমুদ্দিন হঠাৎ খেয়াল করলেন বাসের দরজায় শামছু দাঁড়িয়ে আছে।

আলিমুদ্দিন বললেন, কি মিয়া কিছু কইবা?

হ চাচা।

কি কইবা, কও ?

চাচা, আপনি যদি লাশ নিয়া আজকে বাড়িতে ফিরেন তাইলে আমাগো ঘরের মোবাইলে ফোন দিয়া আমার বউরে জানায়া দিয়েন। আমার নৌকা দিয়া লাশ পার কইরা দিবো নে। কোন টেনশন করবেন না চাচা। সারা রাইত আমি খেয়াঘাটে বইসা থাকমু। আর এই ধরেন, কলা রুটি। সকালে তো কিছু খান নাই। এইগুলা খাইয়া নেন। বাস ছেড়ে দিবে সুতরাং শামছুকে নেমে যেতে হলো। শামছুর চোখের ভিতর পানি। টপ করে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। সেটা অবশ্য আলিমুদ্দিনের চোখ এড়ালো না। আলিমুদ্দিন প্রাণ খুলে দোয়া দিলেন শামছুকে। আল্লাহ, ওরে তুমি বিরাট একজন বড়লোক বানায়া দিও। ওর মনটারে তুমি আরো বড় বানায়া দিও। এইসব দুয়া কবুল হবে কি না তা আলিমুদ্দিনের জানা নেই তবে কেন জানি আলিমুদ্দিনের একটা দৃঢ় বিশ্বাস জাগে। আল্লাহ পাকের কাছে কি না সম্ভব?

ঢাকায় পৌঁছতে পৌঁছতে চারটা বেজে গেলো। বাস থেকে নেমে আলিমুদ্দিন একটা ফ্লাক্সিলোডের দোকান খুঁজতে বের হয়ে পড়েন। একটা দোকান পেয়েছিলেন কিন্তু ওখান থেকে ফোন করা যায় না। দ্বিতীয় একটা দোকানে গিয়েছিলেন। দোকানদার বললো, দশটা মিনিট ওয়েট করতে হবে চাচা। বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছি। আশপাশে আর কোন দোকান নেই। সুতরাং দশটা মিনিট তাকে অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেও আলিমুদ্দিন দোকানদারের হাত ধরে একটা রিকোয়েস্ট করে বসে, বাবা, আমারে যদি একটু তাড়াতাড়ি ফোনটা দিতা, তাহলে ভালো হইতো। আমার অনেক তাড়া আছে। দোকানদার হাসিমুখে বললো, চাচা, এই শহরে তো সবাই-ই ব্যস্ত। আপনিও ব্যস্ত আমিও ব্যস্ত আর যাকে বিকাশ করছি সেও ব্যস্ত। কি করবো বলেন? তবে আলিমুদ্দিনের ব্যস্ততার ধরন যে ভিন্ন সেটা আলিমুদ্দিন ঠিক বুঝাতে পারে না। দশ মিনিটের মাথায় দোকানদার বললো, দেন, নাম্বার দেন। আলিমুদ্দিন বুক পকেট থেকে পলিথিনে মোড়ানো নোটবুক বের করেন। নোটবুকের দুই কোনা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। কল হচ্ছে। গুরুগম্ভীর কন্ঠের একজন মানুষ ফোন ধরলো। আলিমুদ্দিন দ্রুত গতিতে ফোনটা হাতে নিলেন, স্যার, আসসালামু আলাইকুম। চিনতে পারছেন? আমি রেশমার বাপ। আপনার কাছে রেশমার বাঁধাই করা একটা বড় ছবি দিছিলাম মনে আছে? আপনি কইছিলেন, আমার মাইয়াডার খোঁজ পাইলে আপনি জানাইবেন। আজকে ভোরে ঢাকা আসার জন্য বলেছিলেন।

আলিমুদ্দিন কথার ফাঁকে একটু বিরতি নেন। ঐ প্রান্ত থেকে গুরুগম্ভীর মানুষটা কথা বলে উঠে। প্রতিউত্তরে আলিমুদ্দিন বলেন , ঢাকা মেডিকেল কলেজ তো স্যার চিনিনা, আপনি কি একটু আইবেন?

জ্বী স্যার কি বললেন? লাশের চেহারা একদমই চেনা যায় না? মুখ থেতলায়া গেছে? জ্বী স্যার। জ্বী জ্বী বলেন।

স্যার, থেতলায়া যাক আর যাই হোক, আমার মাইয়ারে আমি চিইনা নিতে পারমু, কোন সমস্যা হইবো না।
জ্বী স্যার? স্যার, লাশ ছাড়াইতে ঘুষ দেয়া লাগবো?

জ্বী জ্বী তয় স্যার, এতো টাকা কই পামু? আমার হাত পাও তো একদম বান্ধা। গরীব মানুষ। স্যার, আপনি আমারে কিছু টাকা ধার দেন। আমি আপনারে ভিক্ষা কইরা টাকা পরিশোধ দিমু। তবুও আপনি আমার মাইয়াডার লাশের ব্যবস্থাডা কইরা দেন। আমি ওরে বাড়ি নিয়া যামু। ও আমার অনেক আদরের আছিলো স্যার৷ ]

ওপাশ থেকে ফোন কেটে যায়। আলিমুদ্দিন পাঞ্জাবির পকেট থেকে দ্রুত গতিতে দশ টাকার একটা ভেজা নোট বের করে দোকানদারের হাতে দেয়।

আলিমুদ্দিনকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে যেতে হবে। মেয়েকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করছে। সন্তান জীবিত হোক বা মৃত হোক বাবার কাছে সন্তানের আকর্ষণ সবসময় একই রকম। তবে কোনটা আনন্দের আবার কোনটা বেদনার। ফ্লেক্সিলোড দোকানদার খেয়াঘাটের শামছু মাঝির মতোই বিরক্ত হয়। চাচা, এই ব্যস্ততার কথা আপনি আগে খুলে বলবেন না? কিছু ব্যস্ততা আছে যেগুলো একটু খুলে বলা লাগে৷ দোকানদার দশ টাকার নোট ড্রয়ারে রেখে দিয়ে এক হাজার টাকার সাতটা নোট বের করে আলিমুদ্দিনের হাতে দেয়, ধরেন, আপনার ভিক্ষা করা লাগবে না। এই সাত হাজার টাকা নেন। দাফন কাফন দিয়েন আপনার মেয়ের। আর আপনি আমার ফোন নাম্বারটা নিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে যাওয়ার আগে দুই তলায় একজন সোবহান সাহেব থাকেন। কালো, খাটো করে।

আমার নামটা বলে ফোন নাম্বারটা দেখায়েন। কোন অসুবিধা হবে না। বিনা ঘুষে আপনার মেয়ের লাশ পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় আলিমুদ্দিনের মনটা ভরে ওঠে। এই বিশাল ঢাকা শহরে তার কোন আপনজন নেই কিন্তু তারপরেও আল্লাহ পাক এই শহরে কিছু বড় মনের মানুষদেরকে সৃষ্টি করে রেখে দিয়েছেন। তারা তো আপনজন থেকে কোন অংশে কম না। আলিমুদ্দিন রেশমাকে দেখার জন্য দ্রুত হাঁটা শুরু করেন। বাপজানের সাথে তাল মেলানোর জন্য পিছনে পিছনে দৌড়ায় তার ক্লাস এইটে পড়ুয়া মেয়েটা। স্যান্ডেল খুলে হাতে নেয় সিফু। তারও যে দেখতে ইচ্ছে করছে বড় আদরের বোনটাকে!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *