মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

পাথেয় রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করছে সেনাবাহিনী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর রোববার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরও ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা।

আন্ত বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ২৩ ডিসেম্বর রোববার বিকেল থেকে সেনারা অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং উপকূলীয় ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।

আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা জানান, রোববার থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। জেলা শহর থেকে কোথাও কোথাও উপজেলা পর্যায়েও পৌঁছে গেছে সেনাদল। আজ সোমবার থেকে তাদের টহল শুরু হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩০ ধারায়। আর এবার মোতায়েন হচ্ছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারায়। এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে গত ১৯ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্রে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩১ ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কোনো কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতেও জননিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত হচ্ছে এমন সমাবেশ ভঙ্গের জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ব্যয় হিসেবে কমিশনের কাছে সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা রয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অগ্রিম দেওয়া হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনে কাজী রকিবের কমিশন ফৌজদারি কর্যবিধির ১৩১ ধারা অনুসারে সেনাবাহিনী নিয়োগ করে। কোনো ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরে আসা মাত্র সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তা ওই ধারা অনুসারে তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে মর্মে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে তখন জানিয়ে দেওয়া হয়।

জাতীয় সংসদের ছয়টি নির্বাচনী এলাকার সব ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন এবং ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রদান যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্য প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবেন। নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর টিম উল্লিখিত ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত নিরাপত্তা প্রদানে নিবিড় ও অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

আইএসপিআর জানায়, উপকূলীয় ১৮টি উপজেলা ও সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলা ব্যতীত অন্য সব এলাকায় (৩৮৯টি উপজেলায়) সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং সীমান্তবর্তী ৮৭টি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *