মাথা ঠিক করেন, মাথা ঠাণ্ডা করেন : ড.কামাল

মাথা ঠিক করেন, মাথা ঠাণ্ডা করেন : ড.কামাল

পাথেয় রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এখনও সাত দিন সময় আছে। মাথা ঠিক করেন। মাথা ঠাণ্ডা করেন। মাথা সুস্থ করেন। ইলেকশনে জিততে হবে। এভাবে ভাঁওতাবাজি করে জিতবেন, এটাকে জেতা বলে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, মানুষের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করা, মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধান লঙ্ঘন। যেটা করা হচ্ছে, যত স্বৈরাচারী সরকার এ পর্যন্ত এসেছে, সবাইকে তারা ছাড়িয়ে গেছে।

‘তাই আপনাদেরকে ভালোভাবে বলছি, সাত দিন সময় আছে। এসব বন্ধ করুন। বন্ধ না হলে জনগণ এ নির্বাচন মেনে নেবে না এবং কারও কাছেই তা গ্রহণযোগ্য হবে না,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যেটা করা হচ্ছে, যত স্বৈরাচারী সরকার এ পর্যন্ত এসেছে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই আপনাদেরকে ভালোভাবে বলছি, সাত দিন সময় আছে। এসব বন্ধ করুন। বন্ধ না হলে জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।

ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না দিলে দেশে মহাসঙ্কটের সৃষ্টি হবে। এখনও সামনে সাত দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি-গ্রেফতার বন্ধ করে, প্রচারণার সমান সুযোগ দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। তা না করে ভাঁওতাবাজির নির্বাচন করলে তা কেউ মেনে নেবে না।

বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির তথ্য তুলে ধরে ড. কামাল বলেন, ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, এভাবে পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া, পুলিশ ও সরকারি দল মিলে যারা ভোট চাইতে যাচ্ছে, তাদের ওপর আক্রমণ করা আর হয়নি। এমন আর দেখিনি। কল্পনাও করা যায় না যেভাবে নির্বাচনী পরিবেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। এটা যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। না হলে সংবিধান লঙ্ঘন করার অপরাধ হবে। সংবিধানকে ভঙ্গ করার অপরাধ হবে। ‘এ কাজের জন্য সংবিধান লঙ্ঘনের মতো চরম অপরাধের জন্য দায়ী হবে এ সরকার।’

বর্তমান সরকার তাদের কার্যকলাপে অতীতের সব স্বৈরাচারকে ছাড়িয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *