মাহবুব হাসান— এর দুটি কবিতা
আমি যখন
কথাগুলো হঠাৎই উড়াল দিলো
যখন আমি ওদের আঁকার দেবো ভেবেছি।
আকাশ ছিলো নীলের মাঝে শাদা-ছেড়া
মেঘের দল, ওদের নাতি-পুতি আর প্রতিবেশি শিশুদের মাটির গন্ধ শুকাবে বলে
নামছিলো পৃথিবীর আঙিনায়।
কিন্তু আঙিনাটি রক্তাক্ত হয়ে আছে যুদ্ধবাজ
ধুরন্ধরদের লীলাখেলায়।
তারা যদি ইরাক, সিরিয়া বা আফগানিস্তানের
মর্ম শুকতে চায়! তাহলে?
হায় খোদা !
এ-কোন জটিলযজ্ঞের নিচে আমাকে রেখেছো?
তারা মিশলো পরস্পরে,
হাত ধরাধরি করে নাচতে থাকলো আনন্দে।
আর ভোরের বৃষ্টির মৌ মৌ শব্দের তুমুল গান
ভৈরবীতে বাজতে থাকলো।
আমি বেকুব বনে গেলাম।
কথারা আজ ধরা দিতে চায় না।
০৯/২৯/১৯
জ্যামাইকা, ন্যু-ইয়র্ক
আমার আকাশ
আকাশের নীল প্ররোচিত করছে আমাকে,
আমি উড়ে যাই মুহূর্তেই
রোদে মাখা নীলের জ্যোৎস্নায়,
তারপর অনন্ত আকাশ আমাকে নাচায় তার শয্যায়।
আমি স্বপ্ন থেকে জেগে উঠি।
গোত্তা খাওয়া বোধ শিশুবেলায় নামে। যেন সে
পাখি, তার কোনো ডানা নেই, আছে ভাবনার
নিরাকার চেতনারাশি!
সে আমাকে বিছানা থেকে টেনে তোলে।যেন সে
নিথর কোনো নীলিমা!
আমি ঘুড়ির মতোন গোত্তা খাই। নেমে আসি
ইস্ট রিভারের চঞ্চল অভিমানে। তাকে ভেঙে দিই
মন যেমন ভেঙে দেয় আমাকে রোজ একবার।
আমার আকাশ যখন কাঁদায়
আমি মনের গহনে নেমে গোত্তা খাই নীলিমার জ্যোৎস্নালোকে।
আলো আমাকে নাচায়।
আমি বজ্র-বিদ্যুতের ভয়ে মহাকাশে নির্মাণ করি
পরমাণু-বিম, আলোর প্রপাত!
পরমাণু যুদ্ধের আরেক প্রকল্প আমার!
হায় প্রভু তুমি তা চোখেও দেখো না!
তুমি কী দৃষ্টিহীন অবাক পৃথিবী?
মনো-বৈষয়িক সম্পদ আমার
হাটের পণ্য নয় যে
ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করে দেবো যুদ্ধবাজের কাছে;
আমি অতোটা অমানুষ নই যে
মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে সুখ পাবো।
ময়ূরপঙ্খী নাও ভাসিয়ে আকাশে
হাওয়া খাবো দুঃখী জীবনের বুকের ওপর চড়ে ,
মোদির মতো তেমন বর্বর নই আমি।
ইতিহাসের পাতার বর্বরদের
কবর রচনা করি আমি মৃত্তিকায়।
তোমরা দেখতে পাওনা,
কেন না তোমাদের চোখ নেই।
চোখ দেখবার জন্যে বটে, তা তো নিখিলেরই
সহোদর! তা কি জানো?
আমি রোজ সেই চোখের সরোবরে গা ধুয়ে পবিত্র হই।
পবিত্র শব্দটি আঁকার সর্বস্ব নয়, নিরাকার!
যেন সে মালিক এ- জগত- সংসারের।
আমি সব কিছু ভেঙে দিয়ে একদিন নীলিমা হবো।
০৯/০৭/১৯ন্যু- ইয়র্ক