পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জার্মানিতে হতে যাওয়া মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির মিউনিখ শহরে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
৬০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স হচ্ছে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও বিখ্যাত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রভাবশালী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপোয় ও পরে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সংসদ নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের অভিনন্দন বার্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন দুই রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পরপরই যে গুটিকয়েক দেশ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ দেশ দুটি তাদের অন্যতম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে জার্মানি। রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাকে ফ্রান্সের অবস্থানও ওপরের দিকে।
প্রেসিডেন্ট মাখোঁর সফরে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়– এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ আমাদের একটা অগ্রাধিকার। বিশেষ করে, আবহাওয়া বার্তা পাঠানোর জন্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে এটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে সেপ্টেম্বরে এমওইউ হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন ছিল। নিশ্চয়ই কাজটি দ্রুত এগোবে।
বৈঠক শেষে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপোয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্দান্ত। তবে আরও গভীর করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সংকটের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজতে আমরা একমত হয়েছি।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্যাটেলাইট নিয়ে আলোচনা করেছি। এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
দুই দেশের নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে মেরি মাসদুপোয় বলেন, শিক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।