যাত্রা শুরু করলো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট

যাত্রা শুরু করলো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট

পাথেয় রিপোর্ট : যাত্রা শুরু করেছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট। পুড়ে যাওয়া রোগীদের সুচিকিৎসা ও যোগ্য করে তোলার প্রশিক্ষণে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় নিজের নামে করা ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ৫০০ শয্যা। বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এতে।

১২তলা এই ইনস্টিটিউটে পোড়া রোগীরা যেমন উন্নততর সেবা পাবেন, তেমনি চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণও পাবেন। বললেন, প্রতিষ্ঠানটির চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন।

তবে বুধবার উদ্বোধন হলেও রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাবেন আগামী বছর থেকে। সামন্ত লাল জানান, নতুন বার্ন ইনস্টিটিউট উদ্বোধনের পর আগের মতোই বাকি কার্যক্রম চলতে থাকবে। তবে রোগী ভর্তি শুরু হবে আগামী জুন মাস থেকে।

জানা গেছে, ১২তলা বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটে পোড়া রোগীদের জন্য থাকছে ৫০০ শয্যা, ১০০টি কেবিন। ৫৪ ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট, ৬০ শয্যাবিশিষ্ট হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার এবং অত্যানুধিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জরুরিভাবে রোগী নিয়ে আসার জন্য ভবনের ছাদে হেলিপ্যাড সুবিধা থাকছে। সোলার প্যানেল ও বৃষ্টির পানি সঞ্চয়েরও ব্যবস্থা থাকবে। পার্কিংয়ে একসঙ্গে ১৮০টি গাড়ি রাখা যাবে। ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সঙ্গে একটি ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে ইনস্টিটিউট ভবনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে।

বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার কাজ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি জার্মানি থেকে আনা হয়েছে। এছাড়া ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও কানাডা থেকে কিছু সরঞ্জাম আনা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন করা হয় শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণকাজ এ বছর ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। হাসপাতালটির জনবল নিয়োগের জন্য প্রায় দুই হাজার ২০০ পদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জরুরিভাবে রোগী নিয়ে আসার জন্য ভবনের ছাদে হেলিপ্যাড সুবিধা থাকছে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *