ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি ও জমিয়তের ভূমিকা প্রসঙ্গে মাওলানা মাদানীর বিশেষ সাক্ষাৎকার

ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি ও জমিয়তের ভূমিকা প্রসঙ্গে মাওলানা মাদানীর বিশেষ সাক্ষাৎকার

যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তারা মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠদের বোকা বানাচ্ছে : মাওলানা মাহমুদ মাদানী

ভারতের বিখ্যাত দৈনিক ‘দি হিন্দুস্তান টাইমস’-এর রিপোর্টার জ্যোতি পুনওয়ানি গত ২৪ সেপ্টেম্বর জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি, বিশ্বমুসলিম তারুণ্যের আদর্শ হযরত মাওলানা মাহমুদ আসআদ মাদানী (দা.বা.)-এর একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এতে ভারতের মুসলমানদের টানাপোড়েন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ কীভাবেই বা বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তুমুল আলোচিত এই সাক্ষাৎকারটি বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য আজ উপস্থাপন করছে পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের বিভাজিত দুটি অংশের একটির সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিবর্গের সাথে “বর্তমান পরিস্থিতিঃ সংকট ও সমাধান” শীর্ষক এক সেমিনারে যোগ দিতে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন। জমিয়ত হলো ভারতের দেওবন্দী আলেমদের দ্বারা পরিচালিত মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন। ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য সর্বজন সমাদৃত। দেশভাগের বিরোধিতা আর ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে হাজার হাজার আলেম-উলামাকে জীবন দিতে হয়েছিল।

২০০৯ সালে দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সাথে আলাপচারিতায় মাওলানা মাদানী তাকে বলেছিলেন, “ভারতীয় মুসলমানরা নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধানে সক্ষম… আপনার উপদেশের প্রয়োজন নেই আমাদের… ভারতে বসে কিংবা পাকিস্তানে থেকে দয়া করে ভারতীয় মুসলিমদের অবস্থান বিচার করবেন না।” একজন ভারতীয় আলেম ও পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মধ্যকার এই তীক্ষ্ণ বাকবিনিময় আজও প্রতিনিয়ত আলোচনায় উঠে আসে। ইউটিউবে লক্ষ লক্ষ বার দেখা হয়েছে আলাপচারিতার এই ভিডিওটি।

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বহু সভা-সেমিনার করেছে। ২০০৮ সালে ৮ হাজার আলেম-উলামা নিয়ে দেওবন্দ থেকে রেলযোগে একটি ‘শান্তিযাত্রা’ পরিচালনা করেছিল সংগঠনটি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ফতোয়াও জারি করেছে।

৫৯ বছর বয়সী এই আলেম জর্ডানের রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টারের তৈরি ‘বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম’ তালিকায় ‘বর্ষসেরা প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব’ হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন চলতি বছরে।

 

দি হিন্দুস্তান টাইমস : ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায়, আপনি আপনার অভিজ্ঞতায় সাধারণ মুসলিম জনতার অনূভুতি কেমন দেখছেন?

হযরত মাওলানা মাহমুদ মাদানী : মুসলিম জনসাধারণ হতাশ, আর এই হতাশা থেকে তাদের ভেতর দানা বাঁধছে রাগ ও ক্ষোভ।

কোনো সমাজে যখন এ দুটো মানবীয় অনুভূতি, হতাশা ও ক্ষোভ জমা হয় এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে, তখন তা সমাজের বোধ ও গতিপথের তৃতীয় কোনো শক্তির দিকে ধাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কার সৃষ্টি করে।

এহেন পরিস্থিতিতে, লোকসমাজে স্থিত কোনো উপাদান, সমাজে যার উপস্থিতি ও প্রভাব এমনকি ০.১ শতাংশও না, সেটাই তখন “সমাধান”-এর মুখোশ এঁটে হাজির হয়ে গোটা সমাজটাকেই করায়ত্ত করে ফেলতে পারে।

 

এই অনুভূতি কি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের ও ভারতীয় বাঙালী মুসলমানদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে?

মাওলানা মাদানী : বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এই অনুভূতি পুরো ভারত জুড়েই দেখা যাচ্ছে। কেবল ভারতেই নয়, ভারতের মাটিতে যা ঘটছে তা নিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানরা উৎকন্ঠায় রয়েছে।

বহির্বিশ্বের মুসলমানরা আমাদের তথা জমিয়তের ভূমিকাকে ক্রমশঃ প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা বলছে, আমরা যদি কিছু করতে না-ই পারি তাহলে এত বড় সংগঠন এর কাজটা কী?

সোশ্যাল মিডিয়াতে আজ আমাদেরকে ভীরু বলা হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণরা নানা ধরণের তীর্যক মন্তব্য করছে।

 

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় মুসলমানদের যে অনূভুতি ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার কথা আপনি বললেন, আপনারা কীভাবে তা সামাল দেয়ার পরিকল্পনা করছেন?

মাওলানা মাদানী : আমাদেরকে ক্রমাগত প্রশ্ন করা হচ্ছে যে, কেন আমরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি না?

Our reply is — there’s a need for a response, not a reaction. It’s difficult to explain the difference to people.

আমাদের উত্তর– বর্তমানে প্রয়োজন হলো সময়ের ডাকে ‘সাড়া দেয়া,’ ক্রিয়ার বিপরীতে ‘প্রতিক্রিয়া প্রকাশ’ করা নয়। এ দুটো কর্মের মাঝে যে পার্থক্য, তা মানুষকে ব্যাখ্যা করে বুঝানো মুশকিল। তবুও, আমরা শিক্ষিত–অশিক্ষিত সবধরনের মুসলমানদের দুয়ারে যাচ্ছি এবং তাদের সাথে সরাসরি কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমাদের পরিকল্পনার প্রথম লক্ষ্য হলো, মুসলমানদের ভেতর ( হতাশা দূর করে ) আশার আলো প্রজ্জ্বলিত করা।

তাদেরকে বলা যে, বাহ্যিকভাবে পরিস্থিতি যেমনটা মনে হচ্ছে, ভারত সরকার ও সরকার দলীয় লোকেরা পরিস্থিতির যে রূপটি আমাদের সামনে তুলে ধরছে, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা আসলে তেমনটা নয়।

আমরা প্রত্যক্ষ করছি, জনসাধারণের সাথে এধরণের আলাপচারিতা ফায়দা বয়ে আনছে। মানুষ বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারছে।

 

মুসলমানদের সাথে আজ যা ঘটছে, এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

মাওলানা মাদানী : আমি খুবই আশাহত। অন্য সবার চেয়ে সম্ভবত রাজনৈতিক দলগুলোই আমাকে সবচে’ বেশি আশাহত করেছে। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি।

(মুসলমানদের সাথে ভারতে আজ যা ঘটছে) এটা কেবল সংখ্যালঘু সংশ্লিষ্ট ইস্যু না, এটা তো ভারত রাষ্ট্রটিকেই হুমকির মুখে ফেলছে। যারা তুলনামূলক সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে আছে, এটা তো তাদের জন্যও উদ্বেগের।

আজকাল একটা জনপ্রিয় উক্তি মানুষের মুখে মুখে ফিরছে,

We got azadi of all kinds, political freedom, freedom of religion, everything. But it seems we also got the freedom to be fools.

“আমরা সব কিসিমের স্বাধীনতা লাভ করেছি, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সবকিছুই। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমরা এর সাথে সাথে ‘গর্দভ হওয়ার’ স্বাধীনতাটাও লাভ করেছি।”

মুসলিমদের বিরুদ্ধে যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তাদের মাধ্যমে আজ সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় এই নির্বুদ্ধিতায় নিপতিত হচ্ছে।

 

‘আইএনডিআইএ’ (কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ২৮ দলীয় জোট)-এর কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?

মাওলানা মাদানী : কিছুই না। এরচেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।

 

আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত আপাতদৃষ্টিতে সমঝোতামূলক বিবৃতি দিয়ে চলেছেন ইদানীং, যেমন, “প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন নেই।” আপনি কি তার সাথে কোনো সংলাপে বসেছিলেন ?

মাওলানা মাদানী : না, বসিনি। কিন্তু যারা সংলাপে বসেছে, আমরা তাদের সমর্থন দিয়েছি। আমরা যদি সংলাপের বিরোধিতা করি, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক থাকার অভিযোগ তোলা হবে।

আমরা মনে করি, সংলাপের দুয়ার সবসময় উন্মুক্ত থাকা উচিত, এবং তা সব পক্ষের ক্ষেত্রেই।

 

সম্প্রতি জ্ঞানবাপি মসজিদ ইস্যুতে আদালতে আবেদনকারী একজন একটি সমঝোতা চেয়েছেন উভয়পক্ষের মাঝে; অন্যান্য আবেদনকারীরা অবশ্য তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপনি কী সমঝোতায় রাজি আছেন?

মাওলানা মাদানী : এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

 

কিন্তু আপনি যে মাত্রই বললেন, সংলাপের দুয়ার সবসময় খোলা থাকা উচিত

মাওলানা মাদানী : নো কমেন্ট। আমি যা-ই বলবো, অন্যরা তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে; আমার নিরব থাকাই উত্তম।

[ জ্ঞানবাপি মসজিদ ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত। এ সংশ্লিষ্ট মামলা ভারতীয় আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। —পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম ]

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ প্রতিষ্ঠারও বহু আগে কাসেম নানুতুবি রহ.-এর জীবদ্দশায় ‘ছামারাতুত্তারবিয়া’ নামে একটি সংগঠন করা হয়। এ সংগঠনে ছাত্র তো দূরের কথা, দেওবন্দের সব উস্তাদদেরও সংযুক্ত করা হয়নি। নির্বাচিত কিছু ফুজালা এবং দেওবন্দের কয়েকজন উস্তাদ নিয়ে শুরু হয় এর যাত্রা।
পড়ুন মুফতী ফয়জুল্লাহ আমান কাসেমীর কলমে দেওবন্দ ও রাজনীতি’

গত ফেব্রুয়ারিতে ‘ইউসিসি’ (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি)-এর বিরুদ্ধে একটি রেজুলেশন পাস করেছে জমিয়ত। কিন্তু সরকার তো এখন অবধি এই বিধির কোনো খসড়াও প্রকাশ করেনি। এর বিরোধিতা করার আগে আপনাদের কি উচিৎ ছিল না এর জন্য অপেক্ষা করা?

মাওলানা মাদানী : আমাদের বিবৃতিতে কিন্তু এর একটি খসড়া প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।

 

তাহলে সেটা করার আগেই কেন এর বিরোধিতায় নেমে গেলেন? ঠিক এমন প্রতিক্রিয়াই কিন্তু বিজেপি আপনার কাছ থেকে উদ্ধার করতে চায়…

মাওলানা মাদানী : আমি আপনার সাথে একমত। এটাই ছিল তাদের এজেন্ডা।

 

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের তিন তালাক প্রদান বিষয়ক রায়ের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচকদের মাঝে জমিয়ত ছিল অন্যতম। এখন কি আপনাদের মনে হয় যে, তা ভুল ছিল?

[ সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ে ভারতে একসাথে তিন তালাক প্রদান প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। —পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম ]

মাওলানা মাদানী : মোটেও না। আমরা যে অবস্থান নিয়েছিলাম, তার কারণ আছে। সরকার যেভাবে রায়টি চিত্রিত করেছে, তাতে মনে হয় যেন এটি তাদের নিজস্ব অর্জন। তারা মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছে যে, হিন্দুদের মাঝে যেমন অস্পৃশ্যতার প্রথা রয়েছে, একসাথে তিন তালাক প্রদান প্রথাও মুসলমানদের মাঝে তেমনি প্রচলিত।

কিন্তু ২০১১ সালের আদমশুমারি দেখিয়েছে যে, হিন্দুদের তুলনায় মুসলিমদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা কম।

যে সমাজে পদ্ধতিটি সহজ, সেখানে ঘটনা ঘটছে কম, আর যেখানে পদ্ধতিটি জটিল, সেখানে ঘটছে বেশি। এতদপ্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী যে আঙ্গিকে বিষয়টা চিত্রিত করেছিলেন তা ছিল একেবারেই ভুল।

আমরা একসাথে তিন তালাক প্রদান প্রথার সমর্থক নই। এটা কখনই হওয়া উচিত নয়। আমরা বিশ্বাস করি যে, বিবাহবিচ্ছেদ যেহেতু সরাসরি শিশুসন্তানদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, কাজেই চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া কর্তব্য। তালাক নামক অস্ত্রটি কেবলমাত্র শেষ অবলম্বন হিসাবে ব্যবহার করা উচিত।

মুসলিম জনসাধারণকে আমাদের এটা জানাতে হবে যে, একসাথে তিন তালাক প্রদান করা বিবাহবিচ্ছেদের সবচেয়ে খারাপ রূপ, এবং অবশ্যই এটাকে উপেক্ষা করা উচিত। তবে, এই কাজটা মুসলিম সমাজ করবে, সরকার নয়।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ‘শাহবানু বেগম’ ইস্যুর পর থেকে বিবাহিতা মুসলিম নারীদের অধিকার সম্পর্কে মুসলিম জনসাধারণকে সচেতন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে; আমরা এখনও এর পূর্ণ বাস্তবায়নের অপেক্ষা করছি।

এটা তো এই বোর্ডেরই সাফল্য যে, তালাক প্রদানের ঘটনা অন্যান্য সম্প্রদায়ের তুলনায় মুসলিম সমাজে ক্রমান্বয়ে কমে আসছে, তাই না? তবে হ্যাঁ, আমি একমত যে, আমাদের যতটুকু করা উচিত ছিল, আমরা তা করিনি। এর কুফলও আমাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে।

 

রাজনৈতিক দলগুলোর মতো সাধারণ হিন্দুরাও কি আপনাকে আশাহত করেছে?

মাওলানা মাদানী : না, করেনি। বরং সাধারণ হিন্দুদের নিয়ে আমাদের সবার অভিজ্ঞতাই খুব দারুণ। কেবল হাই সোসাইটির হিন্দুরাই নয়, একই সঙ্গে যাদের সাথে আমার দেখা হয় পথঘাটে, ট্রেনযাত্রায় বা বিমানবন্দরে, তারাও সবসময় এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানান। আমাকে বলেন যে, তারা আমার বিতর্ক বা আলোচনাগুলো দেখেন। এই প্রতিক্রিয়াগুলো সুশীতল বাতাসের মতোই আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে যায়।

 

 

ভাষান্তরঃ ইবনু হাশিম

সম্পাদনাঃ যারওয়াত উদ্দীন সামনূন

 

মূল সাক্ষাৎকারটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *