পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটককম : সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একদিনের সফরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় যুবরাজকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মোদি।
বুধবার সৌদি যুবরাজের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কথা রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা ছিল যুবরাজ সালমানের।কিন্তু পাকিস্তানে ২৪ ঘণ্টার সফর শেষে তিনি নয়া দিল্লি না এসে দেশে ফিরে যান।ভারতে সফর শেষ করে এরপর সেখান থেকে তার চীনে সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।চীন সফরের মাধ্যমেই তার এশিয়া সফর শেষ হবে।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে শান্তি স্থাপনের ব্যাপারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে সৌদি আরব। আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো পথে শান্তি স্থাপন হতে পারে না বলেও জানানো হয়েছে। তবে পাকিস্তান যতক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ধরনের আলোচনা করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
এদিকে যুবরাজের ভারত সফরে এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, ‘সৌদি যুবরাজকে আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছি আমরা।’ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়, ‘দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো’। প্রটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে সৌদি যুবরাজকে অভ্যর্থনা জানান।
সৌদির এ নেতার সফরে সন্ত্রাসবাদ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে। পুলওয়ামা হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে সমঝোতা করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি।
পাকিস্তানে ২৪ ঘণ্টার সফর শেষে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা ছিল যুবরাজ সালমানের। কিন্তু তিনি নয়া দিল্লি না এসে দেশে ফিরে যান।
দুদিনের সফর শেষে সোমবার পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সৌদিতে ফিরে যান বিন সালমান।
বুধবার ভারতের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এরপর সেখান থেকে তার চীনে সফর করার কথা রয়েছে। চীন সফরের মাধ্যমেই তার এশিয়া সফর শেষ হবে।
বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ এবং আবাসন খাতে দিল্লি এবং রিয়াদের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রচেষ্টার মধ্যেই সৌদি প্রিন্সের পাকিস্তান সফরকে বিপত্তি হিসেবে দেখছে না ভারত। কারণ তার এই সফরের পরিকল্পনা কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলার আগেই গৃহীত হয়েছে।
ভারতীয় একটি সূত্র বলছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাবাসন থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তাই সবদিক থেকে ভারতের নয় বরং পাকিস্তানেরই চিন্তিত হওয়ার কারণ রয়েছে।