যেকোনো সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবো বিশ্বভারতীতে প্রধানমন্ত্রী

যেকোনো সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবো বিশ্বভারতীতে প্রধানমন্ত্রী

কলকাতা প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ছিটমহল বিনিময় করেছি। ভবিষ্যতেও যেকোনো সমস্যা আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সমাধান করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়ার আহ্বান জানান ভারতের প্রতি।

শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। কবিগুরুর হাতে গড়া শান্তিনিকেতন। তিনি আমাদেরও। দুই দেশের জাতীয় সংগীত তিনি লিখেছেন। তার বেশিরভাগ কবিতাই বাংলাদেশে বসে লেখা। তাই আমাদের অধিকার বেশি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্বদ্যালয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পুরনো। তারা আমাকে সম্মানিত করেছে। আমি মনে করি এটা আমারও বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অবদান আমরা ভুলবো না। এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের দুই দেশের যোদ্ধাদের রক্ত মিশে গেছে। স্বাধীনতার পর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়। স্থল সীমান্ত চুক্তি। ভারতের সবাই দল-মত নির্বিশেষে এক হয়ে বিলটি পাস করে দিলো। দুই দেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ছিটমহল বিনিময় করেছি। একটা বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত। উৎসমুখর পরিবেশে এই বিনিময় হয়েছে। এজন্য সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। ওই সময় আমি আবার দেখলাম, প্রতিবেশী বড় বন্ধু। ভবিষ্যতে যেকোনো সমস্যা আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সমাধান করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমাদের শত্রু একটাই, দারিদ্র্য। আমাদের এই অঞ্চলকে দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই মিলে কাজ করে এই অঞ্চলে কিছু করবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটা মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য। ভারতের মতো বন্ধু দেশ পাশে আছে। তাই মনে করি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

তিনি বলেন, রেহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশ। তারপরও আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। তবে সহযোগিতা চাই, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারকে চাপ অব্যাহত থাকুক।

 

_Patheo/105/sl

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *