রিজার্ভ নামলো ৩৭ বিলিয়ন ডলারে

রিজার্ভ নামলো ৩৭ বিলিয়ন ডলারে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির নানা উদ্যোগের পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে অবস্থান করছে।

এর মধ্য দিয়ে গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসেবে জুলাই-আগস্টের আমদানির জন্য ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করেছে। একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ কমে ৩৭.২০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নীতি অনুযায়ী দুই মাস পর পর আকুর সদস্যভুক্ত ৯টি দেশের (ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর আমদানি বিল পরিশোধের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সাধারণত বুধবার মধ্যরাতের পরই বিলের অর্থ কেটে নেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন সেটা রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বুধবার সরকারি প্রকল্প ও নিত্যপণ্যের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। এতে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে আসে ৩৮.৯৪ বিলিয়ন। আর সেখান থেকে ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার আকু পেমেন্টের জন্য বিল পরিশোধ করা হয়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আকু বিল মধ্যরাতে রাতে কেটে নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮.৬০ বিলিয়ন। আর বুধবার আকু পেমেন্টের পরে দাঁড়িয়েছে ৩৭.২০ বিলিয়ন। সেই হিসাবে ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১.৪০ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণত কোনো দেশের ৩ মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থাকলে তা আদর্শ ধরা হয়। আমাদের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *