পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) মাধ্যমে ১.৩৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হয়েছে। এতে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, গ্রস রিজার্ভ প্রায় ২১.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৩.০৬ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই ও আগস্টের আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে। একই দিনে রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
এসিইউ হচ্ছে আট দেশের মধ্যে আন্তঃ-আঞ্চলিক লেনদেনে অর্থ পরিশোধের একটি ব্যবস্থা।
১৩ জুলাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রস্তাবিত ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল, ষষ্ঠ সংস্করণ (বিপিএম৬) অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসিইউ এর অধীনে, বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস পর পর আমদানি বিল ক্লিয়ার করে। রিজার্ভ সাধারণত অর্থ দেওয়ার পর কমে আসে।
এসিইউ ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তেহরান-ভিত্তিক সংস্থা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের পরেও মহামারী পরবর্তী সময়ে আমদানি অর্থপ্রধান বৃদ্ধির কারণে ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত হওয়া রিজার্ভ কমতে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে জুলাই ও আগস্ট মাসে ২.২৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে যেখানে ১৩.৫০ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল।
বিভিন্ন খাতে এমন শর্ত পূরণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে আইএমএফ ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে গত জানুয়ারি মাসের শেষে।
শর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল জুনের শেষে ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলারের ন্যূনতম নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ বজায় রাখা, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
আইএমএফ রিজার্ভের হিসাবে বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণের পক্ষপাতি।
সেই কারণে এবার বিপিএম৬ পদ্ধতিতেও রিজার্ভের হিসাব দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।