লেখালেখি চর্চা করতে হবে সময়ের ভাষায় : মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন
নরসিংদী প্রতিনিধি : লেখকদের পাঠের অভ্যাস বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাজধানীর রামপুরা দারুল উলূমের শিক্ষা সচিব লেখক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন। তিনি বলেন, আমরা যারা লেখালেখি করতে এসেছি তাদের পাঠভ্যাস বাড়াতে হবে। এই সময়ে যারা বাংলা সাহিত্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পড়তে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, আমাদের কেন্দ্রীয় চর্চার বিষয় হবে ইসলাম।
যাইনুল আবিদীন বলেন, লেখালেখির জন্য পাঠের কোনো বিকল্প নেই। যার পাঠের মাত্রা যত বেশি তার লেখার গভীরতা তত বেশি। আমরা আমাদের জেদ-ভালোবাসা সবই প্রকাশ করি শব্দে। তাই শব্দটা আগে আমাদের আয়ত্ত করতে হবে। আর এই শব্দ আয়ত্তে আসবে পাঠের মাধ্যমে।
তিনি তরুণ লেখকদের সময়ের ভাষায় লেখালেখি চর্চার প্রতি তাগিদ দেন। এই অঙ্গনে অনেক দিন টিকে থাকতে হলে ক্ষেত্র তৈরি করে নিতে হবে বলে মত দেন প্রতিশ্রুতিশীল এই লেখক।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নরসিংদীর মাধবদীর মাদরাসাতুল মদীনা আল ইসলামিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের উদ্যোগে দিনব্যাপী লেখালেখির কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধবদীর জালপট্টির মসজিদে আকবর কমপ্লেক্সের খতিব মুফতি ইসহাক কামাল। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাদরাসাতুল মদীনা আল ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি মুহাম্মদ রাকিব হাসান।
ঢাকা টাইমসের বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর কী লিখব, কীভাবে লিখব; বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুনীরুল ইসলাম লেখালেখির ভুলত্রুটি ও ছড়া-কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও আলোচনা পেশ করেন, আমিন ইকবাল, শামসুদ্দীন সাদী, রেজা হাসান, মিযানুর রহমান জামীল প্রমুখ।
উপস্থিত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রসঙ্গত, তরুণদের লেখালেখিতে আগ্রহী এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে সম্প্রতি উদ্যোগ নেয় লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম। ইতোমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু বুনিয়াদি কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা তৈরি হওয়ায় এ ধরনের কর্মশালা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ফোরামের দায়িত্বশীলেরা।