পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলা নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের উত্তেজনার মধ্যে শান্তি স্থাপনের সুযোগের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগে শনিবার রাজস্থানে এক সমাবেশে মোদি বলেন, পাঠানের সন্তান হলে পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের পরিবারের সঙ্গে অন্যায় হতে দেবেন না ইমরান খান। তারা যাতে সুবিচার পান সেটা তিনি দেখবেন। মোদির এমন কথার পাল্টা জবাব হিসেবে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ প্রদানের কথা বলেছেন ইমরান খান।
রোববার এর জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পুলওয়ামার হামলা সম্পর্কে যদি ভারত ইসলামাবাদের কোনো প্রমাণ দিতে পারে তাহলে ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর ইমরান খানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন মোদি। সেসময় মোদি ইমরান খানকে বলেছিলেন, ‘আমাদের গরিব মানুষের জন্য কাজ করতে হবে’। এতে সম্মত হয়ে ইমরান খান জানান, তিনি পাঠানের পুত্র। কথা দিলে কথা রাখেন।
সেই সূত্র ধরেই ইমরানের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মোদী। শুধু তাই নয় রাজস্থানের একটি সভা থেকে মোদি বলেন, ‘সন্ত্রাস মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব এক ছাতার তলায় এসে দাঁড়িয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত করে আমরা তাদের শেষ করতে চলেছি। ভারত এখন এক অন্য দেশ। এবারের যন্ত্রণা সহ্য করা হবে না।’
রবিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এখনও নিজের বক্তব্যে অনড়। দিল্লি যদি পুলওয়ামার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ প্রমাণ করতে পারে তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে ইসলামাবাদ।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এর আগে রাজস্থানের অন্য একটি সভায় বক্তব্যে মোদি বলেছেন, সন্ত্রাস মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব এক ছাতার তলায় এসে দাঁড়িয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদকে মদদ না করে আমরা তাদের শেষ করতে চলেছি। ভারত এখন এক অন্য দেশ। এবারের যন্ত্রণা সহ্য করা হবে না।
এদিকে পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এখনও নিজের বক্তব্যে অনড়। দিল্লি যদি পুলওয়ামার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ প্রমাণ করতে পারে তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে ইসলামাবাদ।
ভারত দাবি করছে মাওলানা মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে থাকে। আর তার সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। এর আগে মুম্বাই হামলা ও পাঞ্জাবের পাঠানকোটে হামলার ক্ষেত্রেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। ভারত দাবি করছে এবারও প্রমাণ চেয়ে দায় এড়ানোর কৌশল নিয়েছে পাকিস্তান।