পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সুস্থ ও সুন্দর থাকতে স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। নিজেকে ফিট রাখতে অনেকেই শরীরচর্চা করেন। সকাল-বিকাল বা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করার সময়টুকু বেছে নেন অধিকাংশ সচেতন মানুষ। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিক শরীরচর্চা করার অভ্যাসের প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে।
সকালে শরীরচর্চা না করে কেউ কেউ আবার খেলাধুলা করে থাকেন। এতেও ভালো ব্যায়াম হয়। ঘুম থেকে উঠার পর খালি পেটে খেলাধুলা করার অভ্যাস আছে অনেকের। সকালে না খেলেও শরীরে জমে থাকা সুগার বা গ্লাইকোজেনে থাকে এনার্জি। সকালবেলা এক ঘণ্টা খেলার জন্য সেটাই যথেষ্ট। যদি কেউ সকালবেলা দৌড়তে যান, তা হলেও একই বিষয় প্রযোজ্য।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বোঝার চেষ্টা করা হয় খালি পেটে খেলার উপকার কী কী। পেট খালি থাকায় খেলোয়াড়দের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না, সেটাও দেখা হয়েছিল এই সমীক্ষায়। খেলা শেষে তারা বেশি খেয়ে ফেলছেন কি না কিংবা সারাদিনে কতোটা ফ্যাট ঝরছে, লক্ষ্য রাখা হয়েছিল সব কিছুর দিকেই।
১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। অর্ধেক জনকে এক ঘণ্টার ট্রেডমিলে দৌড়নোর আগে প্রাতরাশ দেওয়া হয়। বাকিদের নয়। শরীরচর্চার পর তাদের সবাইকে চকলেট মিল্কশেক দেওয়া হয়। দুপুরে কে কতোটা পাস্তা খেতে পারছেন, তা দেখা হয় প্রত্যেক দিন।
এই সমীক্ষার শেষে দেখা যায় খালি পেটে শরীরচর্চা করতে কোনো অসুবিধাই হয়নি। যারা না খেয়ে শরীরচর্চা করছেন, তারা বাকি দিনে বেশি খাবার খেয়ে ফেলছেন, এমন কোনো লক্ষণও চোখে পড়েনি।
তারপরেও হতে পারে বিপদ: রক্তে শর্করা মাত্রা খুব কমে গেলে খেলাধুলার সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। ৫৫ বছরের বেশি বয়স হলে অবশ্যই অল্প কিছু খেয়ে শরীরচর্চা করতে হবে। পেট খালি থাকলে অনেকে বেশি ক্লান্ত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক এবং খুব বেশি ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। তাই অর্ধেক কলা বা একটা সেদ্ধ ডিম খেয়ে শরীরচর্চা করতে পারেন যে কেউ-ই।