সাপে-নেউলে ইসলামীপন্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক!
শেখ ফজলুল করীম মারুফ :: গত বৃহস্পতিবার টিএসসিতে আইআর-এর শিক্ষকের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলাম। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় হলো, বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতি। এই সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি একটা হাইপোথিসিস জানালেন যে, বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের মাঝে অগণিত ধারা – উপধারা এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রায় সাপে-নেউলে সম্পর্ক।
এই হাইপোথিসিস এর ভিত্তি হলো, ইউটিউবসহ স্যোশাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত ওয়াজের কাটপিস।
তখন আমি তাকে দৃঢ়তার সাথে বললাম যে, বাংলাদেশের সব ওয়ায়েজদের সামগ্রিক বয়ানের ৯৫% বিষয়বস্তুর একই। ৪% এর মতো বিষয়বস্তুতে ইসলামের বিভিন্ন স্কুল অফ থটের ভিত্তিতে ভিন্নতা পাবেন। যদিও সেগুলো ইসলামের মৌলিকত্ব ও ট্রাডিশনাল টেক্সটের অনুগামী।
আর সর্বোচ্চ ০১% বিষয়বস্তুতে তারা পারস্পরিক মতের বিরোধিতা করেন।
শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও তারা পারস্পরিক সমালোচনায় যে-ধরনের কঠিন শব্দ প্রয়োগ করে তারচেয়েও কয়েকগুন বেশী কঠিন শব্দ তারা জাহেলিয়াত ও তাগুতের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেন।
অতএব, কাটপিস শোনে ইসলামপন্থীদের মাঝে সম্পর্ক নির্ণয় করা গবেষকসুলভ কাজ হবে না।
তারপরে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আপাত বিরোধী মনে হয় এমন দশজন বক্তার যেকোন স্থান থেকে ধারণ করা অন্তত দুইটা মাহফিলের বয়ান তারা পূর্নাঙ্গ শুনবেন। তারপরে এই সংক্রান্ত মতামত প্রকাশ করবেন।
আমি নিশ্চিত! কেউ যদি বক্তাদের সম্পূর্ণ বয়ান শুনেন তাহলে আমার হাইপোথিসিস-এর সত্যতা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থাকে হীন সব কূটকৌশল করে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওয়াজের “কাটপিস ব্যবসা” সেই অশুভ চেষ্টার একটা অংশ। ইসলামপন্থার অনেক অনুসারীও এই খপ্পরে পড়েছেন।
লেখক : সাবেক সভাপতি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন