সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর নিন্দায় মুসলিম দেশগুলো

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর নিন্দায় মুসলিম দেশগুলো

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সুইডেনের স্টকহোমের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে এক অভিবাসী ইরাকি তরুণ ও তার সঙ্গী। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তুরস্কসহ পুরো মুসলিম বিশ্ব।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “আমরা এই পশ্চিমাদের উচিত শিক্ষা দিয়ে বোঝাব, মুসলিমদের অপমান করাটা চিন্তার স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না।”

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “যতক্ষণ ইসলামোফোবিয়া এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের জয় না হচ্ছে, ততদিন আমরা যতটা সম্ভব কড়া প্রতিক্রিয়া জানাব।”

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, “সুইডেন সন্ত্রাসবাদীদের হাত ধরে চলছে। তারা কখনো তুরস্ক-বিরোধী, কখনো ইসলাম-বিরোধী, কখনো একসঙ্গে ইসলাম ও তুরস্ক-বিরোধী কাজ করে চলেছে।”

ইরাকে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বাগদাদে বিক্ষোভকারীরা সুইডিশ দূতাবাসের মধ্যে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, সুইডেন ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

আমিরাত ও জর্ডান সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইরাক, ইরান, কুয়েত, জর্ডন, সৌদি আরব, আরব লিগ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার দেশে কোনো প্রতিবাদের অনুমতি সরকার দেয় না। কারণ, প্রতিবাদ করাটা সুইডেনে আইনি অধিকার। কোনো মানুষ প্রতিবাদ দেখাবেন কি-না, তা পুলিশ ঠিক করে। প্রশাসনে থাকা রাজনীতিবিদরা নন।

স্টকহোমের মসজিদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় তারা মর্মাহত। তারা আদালত ও পুলিশকে বলেছিলেন, মসজিদের সামনে নয়, অন্য জায়গায় প্রতিবাদ দেখানোর অনুমতি দেওয়া হোক। মসজিদের সামনে যেন পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অনুমতি না দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের অনুরোধ রাখা হয়নি।

২৮ জুন সুইডেনে ঈদ-উল-আজহার দিন রাজধানী স্টকহোমের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে কোরআন পুড়িয়ে দেয় ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সালওয়ান মোমিকা ও তার এক সহযোগী। এ কাজের আগে তারা সংশ্লিষ্ট আদালত ও পুলিশের অনুমতি নেয়। মূলতঃ তুরস্কসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ সুইডিশ কর্তৃপক্ষের এই অনুমতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *