পাথেয় রিপোর্ট : ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন আব্দুল রশিদ গাজী। তিনি কাশ্মির হামলার দায় স্বীকারকারী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য ছিলেন।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের গাড়ি বহরে হামলার স্থানেই জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এসময় তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের তথ্য মতে, সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত আব্দুল রশিদ গাজী পাকিস্তানি নাগরিক। আইইডি নামে পরিচিত বিশেষ বোমা ব্যবহারে দক্ষ ছিল এই সাবেক আফগান যোদ্ধা। পুলওয়ামার হামলায় ব্যবহৃত বোমাও এই প্রকৃতির বলে আগেই জানা গেছে।
আব্দুল রশিদ গাজী ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর ২০১১ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসে। সে সময় তাকে ‘দ্বীনি’ ও ‘আসকারি’ (ধর্ম ও অস্ত্র) বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য করা হতো। প্রায় ১০ বছর আগে জইশ-ই-মোহাম্মদে যোগ দেয় আব্দুল রশিদ গাজী। পাশাপাশি সংগঠনটির প্রধান মাসুদ আজহারের অত্যন্ত ঘনিষ্টও হয়ে ওঠে সে।
জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান থেকে কাশ্মিরে প্রবেশ করে আব্দুল রশিদ গাজী। উদ্দেশ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিহত মাসুদ আজহারের ভাতিজা উসমান ও তালহা হত্যার প্রতিশোধ। পেশায় দুইজনই স্নাইপার ছিল। পুলওয়ামাতে হামলার মাত্র কয়েকদিন আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক অভিযানে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল আব্দুল রশিদ গাজী। তবে সোমবারের অভিযানে নিহত হয় সে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে দেশটির ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়ি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে প্রাণ হারান ওই বাহিনীর অন্তত ৪০ সদস্য। হামলার পর জইশ-ই-মোহাম্মদ নামে এক পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন এর দায় স্বীকার করে।