স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন জরুরি

স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন জরুরি

মাস্ক ছাড়া সেবা নয়

স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন জরুরি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কেবল মাস্ক নয় অন্য সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষায় ঘোষিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই কথা জোর দিয়ে বলেছেন। অনেক দেশেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আক্রান্তের দৈনিক হার ক্রমেই বাড়ছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন সাড়ে চার কোটির কাছাকাছি। এরই মধ্যে মারা গেছে সাড়ে ১১ লাখের বেশি মানুষ। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে করোনা মহামারি আগের চেয়েও ভয়াবহ রূপে ফিরে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শিগগির বাংলাদেশেও শুরু হতে পারে। তাঁরা মনে করছেন, বাংলাদেশেও দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ আগের চেয়ে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এর জন্য তাঁরা দায়ী করছেন নিয়ম-কানুনের শিথিলতা ও উদাসীনতাকে।

করোনা প্রতিরোধে যেসব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো প্রায় উঠে গেছে। বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানাদি চলছে অবাধে। বাসসহ গণপরিবহনে নেই কোনো সতর্কতা। এমনকি মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রবল অনীহা। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’, অর্থাৎ মাস্ক নেই তো সেবা নেই। মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে ঢোকা যাবে না, কোনো সেবাও পাওয়া যাবে না।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শীতের শুরুতেই ছড়িয়ে যেতে পারে। এ জন্য অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, অফিস-আদালত, হাট-বাজার, শপিং মল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টার থাকবে, যাতে লেখা থাকবে, যে মাস্ক পরবে না, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সে কোনো সেবা পাবে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেও বলা হয়েছে, দিনে দুইবার নামাজের পর মানুষকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। কভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ কোথা থেকে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পেতে পারি, সে বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জারি আছে, আশা করি প্রথম দিকেই আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

করোনাভাইরাসের কার্যকর কোনো প্রতিষেধক এখনো মানুষের আয়ত্তে আসেনি। প্রতিকারের জন্যও খুব কার্যকর ওষুধ নেই। ফলে করোনা থেকে বাঁচার এখনো প্রধান বা একমাত্র উপায় হচ্ছে প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও নিয়ম-কানুন মেনে চলা। বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আইসিইউ সুবিধার ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

আমরা মনে করি, হাসপাতালের শয্যা, সরঞ্জাম বৃদ্ধি, চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ আরো যেসব কাজ অর্ধসম্পন্ন আছে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি টিকা বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন তা সংগ্রহ ও প্রয়োগ করতে পারি, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *