হাইয়া ছাড়া পৃথক পরীক্ষাকে গুজব বললেন মাহমুদুল হাসান

হাইয়া ছাড়া পৃথক পরীক্ষাকে গুজব বললেন মাহমুদুল হাসান

হাইয়া ছাড়া পৃথক পরীক্ষাকে গুজব বললেন মাহমুদুল হাসান

পাথেয় রিপোর্ট : ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা মাহমুদুল হাসান পরিচালিত জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়ার (যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা) দাওরায়ে হাদীসের শিক্ষার্থীরা আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ বিষয়ে মাওলানা মাহমুদুল হাসান পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটা নিছক গুজব। আমাদের যাত্রাবাড়ির শিক্ষার্থীরা কখনোই মুরুব্বীদের কোনো কাজের বিরুদ্ধে যেতে পারে না।পরীক্ষা প্রত্যাখ্যান করতে পারে না।

সন্ধ্যার পর মুরব্বীদের বৈঠকের সিদ্ধান্তই তার সিন্ধান্ত জানিয়ে মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে সে অনুযায়ী আমার মাদরাসার শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে।
২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মাওলানা মাহমুদুল হাসান এসব কথা বলেন।

ফেসবুকে মুহা. শাহীন ভূইয়া নামে একজন লিখেছেন, হাইয়াতুল উলইয়ার পরীক্ষা কে প্রত্যাখ্যান করেছে যাত্রাবাড়ী মাদরাসা।

আজ বিকেল থেকেই যাত্রাবাড়ী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা শুরু।

তাদের সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানাই।

আরেকটি আইডি আরিফ জাব্বার লিখেছেন, যাত্রাবাড়ী মাদরাসা থেকে হাইাতের পরিক্ষা স্থগিত৷ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে পরিক্ষার ব্যবস্থা করেছে৷ আজ বিকাল তিনটা থেকে পরিক্ষা হবে৷ এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত৷

বেফাক বোর্ড রেজাল্ট নামের একটি পেজ থেকে লেখা হয়, ব্রেকিং নিউজ!!!!!!

আবারো আল হাইআতুল উলইয়া বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁস। যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা হাইয়াতুল উল‌ইয়ার আর কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না। শোনা যাচ্ছে, মেশকাতের প্রশ্নও নাকি ফাঁস হয়েছে! গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তদন্ত চাই। নিজেরা তদন্তের নামে প্রহসন বন্ধ করতে হবে। আর নয়, অনেক হয়েছে।

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এসব খবরকে গুজব বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, এটা ভিত্তিহীন, মিথ্যা। যাত্রাবাড়ি ছাত্র এরকম না। আমার বয়ানও বের হয়েছে। আমি জোহরের নামাজের পর শিক্ষার্থীদের ডেকে বলেছি। দেখো, এটা তাকদির। মুরব্বীদের পরামর্শ অনুযায়ী যা সিদ্ধান্ত হয় সে অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

গুজবের কথা শুনে তিনি রাগতস্বরে বলেন, যাত্রাবাড়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কখনোই এমন প্রত্যাখ্যানের মতো কোনো শব্দই ব্যবহার করে না।

কওমী মাদরাসার প্রশ্নফাঁস বিষয়ে মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আগেও বলেছি।

প্রসঙ্গত, সম্মিলিত কওমি মাদরাসা সরকারি বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফের ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ বাতিলও করেছে। এর আগে বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস পরিচালিত ফরিদাবাদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বড় মাদ্রাসায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ কারণ কেন্দ্রীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো গত ২৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *