নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকবিরোধী অভিযানে গত ১৫ দিনে ১১৯ জন নিহত হয়েছে। বুধবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। হতাহতের এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে আসক।
বিবৃতিতে বলা হয়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতা নীতির অংশ হিসেবে মে মাসের শুরু থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী সারাদেশে ব্যাপক মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এ অভিযানে গত ১৫ দিনে পুলিশ ও র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ১১৯ জন এবং প্রায় ১০,০০০ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও মাদকসেবী এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, স্বল্প সময়ের এত মানুষের মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার থেকে বারবার বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও গণমাধ্যম ও নিহতদের স্বজনরা ঘটনার ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছেন। গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বা টাকা নিয়েও বন্দুকযুদ্ধে দেয়ার অভিযোগ এসেছে। টেকনাফের পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার একরামুল হক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর জানা যাচ্ছে যে, তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা আবারও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, প্রতিটি ব্যক্তির বেঁচে থাকার এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি তার সাংবিধানিক অধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলসমূহেও এ অধিকার স্বীকৃত। রাষ্ট্র তার কাছ থেকে এ অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। সরকারের কাছে মানবাধিকারের মূলনীতি ও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
– pathe0/106/sb