১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অসহনীয় গরমে নাকাল রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। প্রচণ্ড রোদে জনজীবন অতিষ্ট। দেশের ৫৬টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং সেটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়াতে পারে এবং গরমেরে তীব্রতা আরও কয়েকদিন থাকবে। বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস দিতে পারেনি আবহাওয়া বিভাগ। এছাড়া আগামী দু-একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কোনো কোনো স্থানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি, রাজশাহী বিভাগের ৮টি, খুলনা বিভাগের ১০টি, বরিশাল বিভাগের ৬টি, সিলেট বিভাগের ৪টি ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টি না হলে আরও কয়েকদিন তীব্র গরম থাকবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাটে ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এদিকে অসহনীয় গরমের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রকোপ। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই শিশু। অনেকেই ভুগছে জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া আর নিউমোনিয়ায়।
গরমের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত শিশুদের বিশেষ যত্নের পাশাপাশি সবাইকে বেশি করে তরল খাওয়ানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের।