ক্রীড়া ডেস্ক : ইউরোপিয়ান লিগ গুলোতে গত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করে পুরস্কারটা নিশ্চিত করেছিলেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।। তবে উয়েফা কর্তৃপক্ষ সেই পুরস্কারটা মঙ্গলবার রাতে লিওনেল মেসির হাতে তুলে দেয়। ফলে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। রেকর্ড পাঁচবারের মতো এ পুরষ্কার পেলেন ক্ষুদে জাদুকর। এতোদিন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সমান চারটি গোল্ডেন বুট ছিল মেসির শোকেসে।
এর আগে ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৬-১৭ মৌসুমে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছেন বার্সেলোনার এ সুপারস্টার। পঞ্চমবারের মতো এ পুরস্কার জিতে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন এ সময়ের আরেক সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। পর্তুগিজ তারকা চারবার জিতেছেন এই পুরস্কার।
২০১৭-১৮ মৌসুম শেষেই নিশ্চিত করেছিলেন মর্যাদার এ পুরষ্কার। এদিন পেলেন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। গত মৌসুমে ৩৪টি গোল দিয়েছিলেন মেসি। পেছনে ফেলেছেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ ও টটেনহ্যাম হটস্পার্সের হ্যারি কেইনকে। গত মৌসুমে ৩২টি গোল দিয়েছিলেন সালাহ। মেসির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো দিয়েছেন ২৬টি গোল। লিগে সর্বোচ্চ গোলের জন্য পিচিচি ট্রফির পর এবার গোল্ডেন বুট জিতলেন মেসি।
পুরষ্কার হাতে নেওয়ার পর মেসি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি যখন ধারণাই ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে। আমি পেশাদার ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখতাম এবং সাফল্য উপভোগ করতাম। আমি খেলাটা ভালবাসতাম তবে কখনোই ভাবিনি এতো কিছু অর্জন করব।’
রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ পাঁচবার পিচিচি ট্রফি জিতে নেওয়ার কৃতিত্বটা ক্লাব সতীর্থদের দেন মেসি, ‘আমি কাজ পছন্দ করি, চেষ্টাটাও। আমি পৃথিবীর সেরা একটা ক্লাবে সেরা সতীর্থদের সঙ্গে খেলছি। তাই সব কিছু সহজ হয়ে গিয়েছে।’
এর আগে ২০০৯-১০ মৌসুমে ৩৪ গোল, ২০১১-১২ মৌসুমে ৫০ গোল, ২০১২-১৩ মৌসুমে ৪৬ গোল এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৩৭ গোল দিয়ে এ পুরষ্কার জিতেছিলেন মেসি। চলতি মৌসুমেও সেরার তালিকায় শীর্ষেই আছেন মেসি। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪টি গোল দিয়েছেন বার্সার হয়ে।
৩১ বছর বয়সী মেসি বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা। এখন পর্যন্ত ৬৫৫টি ম্যাচ খেলে দিয়েছেন ৬৫৫টি গোল।
গত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের পর এ মৌসুমেও লিগে উড়ে চলছেন মেসি। লা লিগায় এখনো সর্বোচ্চ গোল নিয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে তিনি।দুর্দান্ত মেসিকে রুখবার সাধ্যি কার। অবসরের আগে ফুটবল বিশ্ব ভিনগ্রহের এই ফুটবল জাদুকরের কাছ থেকে এমন কিছু আশা করতেই পারে শতাব্দির পর শতাব্দিজুড়ে যা অম্লান হয়ে থাকবে।