‘কোরআনের তেলাওয়াত শুনলে হৃদয়ে শান্তি অনুভূত হয়’

‘কোরআনের তেলাওয়াত শুনলে হৃদয়ে শান্তি অনুভূত হয়’

পাথেয় রিপোর্ট : ৬ জুন বুধবার থেকে ইকরা বাংলাদেশ কমপ্লেক্স জামে মসজিদে শুরু হয়েছে কিয়ামুল লাইল। মধ্যরাতে পবিত্র কালামে পাকের তেলাওয়াত শুনতে কিয়ামুল লাইলে শরীক হচ্ছেন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লীগণ। দিনদিন উপস্থিতিদের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
৯ জুন শুক্রবার কাকরাইল মন্ত্রীপাড়া থেকে এসেছেন বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। কথা হয় পাথেয় টোয়োন্টিফোরের সঙ্গে।

রমজান কেমন কাটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজান আমার সবসময়ই ভলো লাগে। আল্লাহ পাকের আদেশ নিষেধ অনুযায়ী তাঁর হুকুম আহকাম পালন করে রোজা রাখার সাথেসাথে বেশি বেশি ইবাদত করার চেষ্টা করি।

কার মাধ্যমে এখানে আসা? কিয়ামুল লাইলে শরীক হয়ে আপনার অনুভূতি কেমন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কয়েক বৎসর থেকে ইকরা মসজিদে কিয়ামুল লাইলে আসি। এখানে কিয়ামুল লাইলে আসার জন্যে আমাকে প্রথমে উদ্বুদ্ধ করেন আমাদের খতীব সাহেব মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ। উনার মাধ্যমে প্রথমে এখানে আসা। এখন আমি স্বইচ্ছায় আসি এই মসজিদে কিয়ামুল লাইলের নামাজ আদায় করতে।

শেষরাতে কিয়ামুল লাইলের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরীফের তেলাওয়াত শুনতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াত শুনলে হৃদয়ে একধরনের শান্তি অনুভব হয়, কিন্তু সেটা কেমন, তা আমি বোঝাতে পারবো না। আর এখানে যারা নামাজ পড়ান তাদের তেলাওয়াত অনেক সুন্দর, তারে সুরে আমি মোহাবিষ্ট হয়ে থাকি।

লুৎফর রহমান বলেন, আমি মনে করি যদি কোনব্যক্তি এই মসজিদে একদিন কিয়ামুল লাইলে শরীক হয়, তাহলে সে কোরআন তেলাওয়াত শুনার স্বাদ পেয়ে যাবে, বারবার কিয়ামুল লাইলে শরীক হওয়ার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।

ইকরা মসজিদ-মাদ্রাসার পরিবেশ আপনার কেমন লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে শতশত মানুষ ইতেকাফ করছে, সবার জন্যে সাহরি-ইফতারের ব্যবস্থা করা হয় নিয়মিত, এই বিষয়গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। আর এখানকার পরিবেশটাও অনেক সুন্দর মনমুগ্ধকর।
পরিশেষে পাথেয় টোয়েন্টিফোর্র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালে তিনিও পাথেয় টোয়েন্টিফোরকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের এই উদ্যোগটা অনেক সুন্দর।

গ্রন্থনা : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *