‘জমিয়তুল উলামা চায় তালিবুল ইলম উস্তাদের অনুসরণ করুক’

‘জমিয়তুল উলামা চায় তালিবুল ইলম উস্তাদের অনুসরণ করুক’

পাথেয় রিপোর্ট : তালিবুল ইলম উস্তাদকে অনুসরণ করবে-এটাই স্বাভাবিক বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব, রাজধানীর জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুর রহীম কাসিমী। তিনি বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী আকাবির ও আসলাফের চিন্তাধারা ও আদর্শ সমাজে বাস্তবায়ন করার জন্যে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একজন আলেমের দায়িত্ব হচ্ছে জনসাধারণকে তার সাথে জুড়িয়ে রাখা। সাধারণজনগণকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেয়া। যাতে তারা ঈমান কেন্দ্রিক কাজ করতে পারে। আর বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, আলেম জনতা ও সাধারণ জনগণকে এক সামিয়ানার নিচে নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তালিবুল ইলমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তালিবুল ইলমদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে তাদের শিক্ষকদের অনুসরণ করা। যে তালিবুল ইলম তার শিক্ষকের অনুসরণ করে না, সে সাহাবায়ে কেরামদের অনুসরণ করতে পারবে না। আর যে সাহাবায়ে কেরামদের অনুসরণ করতে পারবে না। সে রাসূল সা. এর অনুসরণ করতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা

তালিবুল ইলমদের বিশেষ পরামর্শ দিয়ে মাওলানা কাসেমী বলেন, শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক হলো, তাদের সমঝকে তাদের শিক্ষক ও আকাবিরে আসলাফের সমঝের উপর ন্যস্ত করবে।

১৪ জুলাই শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর দারুল উলূম মাদ্রাসা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা বিজয়নগর থানা শাখার তালীমী হালকা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির আলোচনায় বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সাংবাদিক মাওলানা মাসউদুল কাদির বলেন, আমি একজন লেখক মানুষ, আমি লিখতে ভালোবাসি। বিজয়নগর গ্রামে ঢুকতেই মনে পড়ে গেছে আমার লেখার শিরোনামের কথা, ‘গ্রামকে গ্রাম থাকতে দাও।’ আর এই মাদ্রাসার তালিবুল ইলমের হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, উত্তম চরিত্র, সুন্দর ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার লক্ষ্য এটাই, কীভাবে মানুষের চরিত্র সুন্দর করা যায়, ব্যবহার ভালো করা যায়, জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়।

মাদ্রাসার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল করীম বলেন, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা আমাদের রাসূল সা. ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ সমাজে বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠা করার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে, আমি সবসময় বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার সাথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই সব কওমী মাদ্রাসার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে দারুল উলুম দেওবন্দ। দারুল উলূম দেওবন্দ শুধু আমাদেরকে ইলম শিক্ষা দেয় নাই, ইলম শিক্ষা দেয়া পাশাপাশি শিক্ষা দিয়েছে ইসলামের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি, কিন্তু আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা দেয়া আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি ভুলে গেছি। তাই এসব আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলো সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যে বাংলাদেশ জামিয়তুল উলামা কাজ করে যাচ্ছে।

জমিয়তকর্মী খালেদ হাসান বলেন, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সাহেবের সুহবতে এসে আমার জীবন পরিবর্তন হয়ে গেছে, আমি ঈমানের মজা পেয়ে গেছি। আপনারাও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মাধ্যমে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সাহেবের সুহবতে আসেন, ঈমানের স্বাদ পেয়ে যাবেন। আপনার জীবন অনেক সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা এনামুল হক সুমন, মাওলানা কুদরত আলী, মাওলানা কবির হুসাইন, মাওলানা সুলাইমান, মাওলানা মুবাশ্শীর, মাওলানা নাজমুল হক শাহীন, হাফেজ আবুল হাসান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুনিরুল ইসলাম বলেন, সমাজিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার বিকল্প কোন সংগঠন নেই। বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা মানুষের কল্যাণের কাজ করে। মানুষকে জান্নাত নিয়ে যেতে চায়। বিজয়নগর থানার উপস্থিত সকলকে জমিয়তের সদস্য ফর্ম পূরণ করার আহ্বান জানান তিনি।

___________________________________/

তথ্য সংগ্রহ ও গ্রন্থনা : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির

 

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *