জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

পাথেয় রিপোর্ট : আসন্ন নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ১০ নভেম্বর বসছে ২০ দলীয় জেট। শনিবার বিকাল ৫টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোট গুলশানে পুনরায় বৈঠকে বসবে। বৈঠকে আগামী নির্বাচনি পরিকল্পনা তৈরি করবেন বিএনপির নেতারা।

সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে নির্বাচন, মনোনয়ন ও আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে। একই ইস্যুতে রাতে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেরও বৈঠক আছে। বৈঠকে বসবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বিএনপি, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতামত নিয়ে আগামীকাল রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে পারেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্র আরো জানায়, বিএনপি, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতামত নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামীকাল রবিবার দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে পারেন। পাশাপাশি দলটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও আরেক দফা কথা বলবেন। সব আলোচনা শেষে দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়া সংক্রান্ত ঘোষণা দেবে বিএনপি।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নিতে হলে জোটগতভাবে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন আছে। কেননা, জোটগতভাবে প্রার্থী দিতে হলে তিন দিনের মধ্যে তা জানাতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তাই আজকের উভয় জোটের বৈঠকে এ বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট সূত্র জানিয়েছে, ঘোষিত তফসিলে নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বিএনপির থিংক ট্যাংক বা বিশেষজ্ঞ মহলে।

উভয় জোটের পক্ষ থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম। তফসিল ঘোষণার পরও বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজশাহীতে জনসভায় যোগ দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহড়া দিয়েছেন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া গত কয়েক দিনে ২২ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নেতাকর্মীরা বাসায় ঘুমানো দূরের কথা, এলাকায়ও থাকতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে গেলে প্রচার-প্রচারণা করাও সম্ভব হবে না। ফলে নির্বাচনে যাওয়াটা ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সেসব বিশ্লেষণ শেষেই আসবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে উভয় জোটের ঘোষণা।

বৃহস্পতিবার গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে শরিক দলগুলোর মধ্যে ১১টি দলের মতামত নেয়া হয়।
সূত্র জানায়, ১১টি দলের মধ্যে ১০টি শরিক দল নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়। তারা নির্বাচনে যেতে প্রস্তত আাছে। যদিও তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত বলে মনে করছে। সেখানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বাকি ৯ দল তাদের মতামত জানানোর আগেই জোটের বৈঠক মুলতবি করা হয়।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠকটি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে আসন্ন একাদশ নির্বাচন নিয়ে তাদের পদক্ষেপ কি! বৈঠকে আগামী নির্বাচনি পরিকল্পনা তৈরি করবেন বিএনপির নেতারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *