পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে উন্নতি-অগ্রগতিত দিকে হাঁটছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং ইনশাল্লাহ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অংশ বিশেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালিকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা এবং তাঁদের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনিও খেলতে পারবেনা।
৩১ অক্টোবর বুধবার সকালে রাজধানীর মহাখালীস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল গ্যাস্টোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভবন উদ্বোধন এবং আরো কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকালে প্রদত্ত ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সরকারি হাসপাতালের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি আগত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সেবা দেওয়াটা আপনাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি এগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ, এগুলোর নির্মাণে সরকারকে অনেক কষ্ট করে বাজেট বরাদ্দ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কাজেই আমরা আশা করবো আপনারা চিকিৎসা সেবাটাকে আপনাদের কেবল পেশা হিসেবে নয় মহান দায়িত্ব হিসবে গ্রহণ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হয়েছে সেগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ভিত্তিটা আরো মজবুত হবে। আমি একটা অনুরোধ করবো এই ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল-যে প্রতিষ্ঠানগুলিই আমরা তৈরি করি না কেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সুন্দরভাবে চলে, ভালো ভাবে চলে। তিনি বলেন, এখানে মানুষ যাতে সেবা পায়। মানুষকে সেবা দেওয়াটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কাজ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সুন্দরভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যুগোপযোগী করা এবং সুন্দরভাবে যেন এগুলো পরিচালিত হয়-সেইটুকু আপনাদের কাছে আমি চাই।
অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার এ্যাট শের-ই- বাংলা নগর এর উদ্বোধন এবং বিএমআরসি ভবন মহাখালী, ঢাকা’র উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ, শের-ই- বাংলা নগর এর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দি হাসাপাতাল শের-ই- বাংলা নগর-এর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, কিডনী ডিজিজেজ এন্ড ইউরোলজি হাসপাতাল শের-ই- বাংলা নগরের সম্প্রসারণ কাজ, ৫শ’ বেড হাসপাতাল মুগদা’র সার্ভিস ব্লকের সম্প্রসারণ, নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি ভবন মহাখালী, অ্যাজমা সেন্টার মহাথালী’র সম্প্রসারণ এবং কনষ্ট্রাকশন অব হেলথ ম্যানেজমমেন্ট, সাভার-এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের সেবার মহান ব্রত নিয়ে আপনাদের এই পেশা। এই ব্রত নিয়েই আন্তরিকভাবে মানুষের সেবা করুন। দেশে এখন চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে শুরু করে গবেষণা, ক্লাস নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানা তিনি।
শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, নাক-কান গলা ইনস্টিটিউট, ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, বেগম ফজিলাতুন নেছা কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালসহ তাঁর সরকারের বিভিন্ন বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের তিন মেয়াদে বিশেষায়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগীরা স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা নিতে পারছেন এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম শিশির এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।