কলকাতা প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে দুই নেতা যখন বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনের ফলক উন্মোচন করছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
বিশ্বভারতীর ৪৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের এই আনুষ্ঠানিকতা হয়। শেখ হাসিনা এই সমাবর্তনে যোগ দেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মোদী এবং অতিথি হিসেবে মমতাও ছিলেন সমাবর্তন মঞ্চে।
বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর উদযাপন ঘিরে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ভবনই এবার তিনি উদ্বোধন করলেন মোদীর সঙ্গে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, যা বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষাগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসভিত্তিক সংগ্রহশালার পাশাপাশি ভবনটিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে।
ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বিকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন। শনিবার আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দেবেন। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে।
আসানসোল থেকে কলকতা ফিরে শনিবার বিকালে নেতাজী যাদুঘর পরিদর্শন করে রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
_Patheo/105/sl