রমজান মাস ইবাদতের বসন্তকাল : আল্লামা মাসঊদ

রমজান মাস ইবাদতের বসন্তকাল : আল্লামা মাসঊদ

আদিল মাহমুদ : ১৫ মে মঙ্গলবার বাদ মাগরিব বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নিজ বাসভবনে সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর একটি পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত পরামর্শ সভায় শুরুতেই আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, রমজান মাস ইবাদতের বসন্তকাল। আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা রমজান প্রায় পেয়েই গেছি, দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌছে দেন।

তিনি বলেন, রমজান মাসের সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে, রমজানের রোজা রাখা। সাথে সাথে প্রতিদিন বিশ রাকাত তারাবিহের নামাজ আদায় করা। রামজানে একাকী যে সব ইবাদত করা হয়, তার মধ্যে সবথেকে বড় ইবাদত হচ্ছে, কোরআন শরীফের তেলাওয়াত করা। কারণ রমজান মাস, কোরআনের মাস।

আল্লামা মাসঊদ আরও বলেন, বর্তমানে উলামায়ে কেরামদের মাঝে সবচেয়ে বড় ফেতনা হচ্ছে ‘অহংকার!’ আর তাবলীগ জামাতের মধ্যে এখন যে দ্বন্দ্ব চলছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই ‘অহংকার।’ সবাই নিজের মন্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা কর্তৃক তালীমী হালকা চালু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। তালীমী হালকা কেমন চলছে? নিয়মিত হচ্ছে কিনা? ওসব আল্লামা ফরীদ উদ্দিন মাসঊদ জানতে চাইলে, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাইফী বলেন, প্রচারেই প্রসার। দাওয়াতের পাশাপাশি আমি আমার মসজিদে প্রতিদিন এশারের নামাজের পর তালীমী হালকার ব্যবস্থা করেছি। আমার মসজিদে নিয়মিত তালীমী হালকা চলছে আলহামদুলিল্লাহ।

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সেক্রাটারি মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন বলেন, প্রতি সমবার মাগরিবের নামাজের পর চৌধুরীপাড়ায় পাথেয় ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার অফিসে তালীমী হালকা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমাদের ‘ঈমান’ বইয়ের তালীম শেষ হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমরা ‘হক পন্থীদের পরিচয়’ এই বই দিয়ে তালীম করছি।
এভাবেই একের পর এক বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সকল সদস্য ও কর্মী বৃন্দ নিজ নিজ এলাকার অবস্থা বর্ণনা করেন।

https://scontent.fdac5-1.fna.fbcdn.net/v/t1.15752-9/32555985_845836262286960_8269970622348525568_n.jpg?_nc_cat=0&_nc_eui2=AeGvF8Yj7y_8th7tYbL1DdcdJAVZ6-0Oei3uPRm6JBe7g0E58Hm1ir1MeW6gud4OfTN7TKf84vzjhATZu5BqDqxBrnC7YW3iUGUbIFiFqy24Nw&oh=3c9b49cce8c62949065b1daa4def2009&oe=5B80D284
সবার বক্তব্য শোনার পর পরিশেষে আল্লামা মাসঊদ বলেন, তালীমের হালকা আরো বেশি বেশি চালু করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রাম, পাড়া, মহল্লা ও মসজিদে মসজিদের কিভাবে তায়লীমের ব্যবস্থা করা যায়, এই বিষয়টার দিকে আমাদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, দাওয়াতের দ্বারা জেহনিয়াত গঠনের জযবা পয়দা হয়; আর তা’লীমের দ্বারা জেহনিয়াতের মধ্যে অবিচলতা সৃষ্টি হয়।
উক্ত পরামর্শ সভা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা শুয়াইব, মাওলানা ফারুক, মাওলানা মাহবুব, মাওলানা নাঈম, মাওলানা হুসাইন, মাওলানা ইকরামসহ বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর

আরও অনেক সদস্য ও কর্মী বৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *