২রা মার্চ, ২০২১ ইং , ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রজব, ১৪৪২ হিজরী
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় জার্মানি, পোল্যান্ড ও সুইডেনের তিন কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে মস্কো।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল শুক্রবার মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর কূটনীতিকদের বহিষ্কারের এই ঘোষণা রুশ কর্তৃপক্ষ। জোসেপ বোরেল এই বৈঠকে নাভালনির মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন।
জোসেফ বোরেল বলেন, নাভালনির ঘটনায় রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। উভয় পক্ষের মধ্যকার সম্পর্ক আরও নিচের পর্যায়ে চলে গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, তারা (ইইউ) দিন দিনই যুক্তরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। নাভালনির ঘটনা নিয়ে ইউরোপ কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা বৈধ হবে না বলে জানান তিনি।
নাভালনিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিকের আহ্বানও রাশিয়া শুক্রবার প্রত্যাখ্যান করেছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল কূটনীতিক বহিষ্কারের পদক্ষেপকে অন্যায় আখ্যা দিয়েছেন এবং রাশিয়া আইনের শাসন থেকে আরেক ধাপ সরে গেল বলে মন্তব্য করেছেন।
ওদিকে, পোল্যান্ড কূটনীতিক বহিষ্কারের জবাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর সংকটে ফেলবে বলে জানিয়েছে তারা।
অবশ্য সুইডেন তাদের কোন কূটনীতিক রাশিয়ায় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল নাভালনিকে। সেই হত্যাচেষ্টায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি। অবশেষে ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে সমর্থকরা। এর মধ্যেই ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে হাজার হাজার মানুষকে আটক করে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা।