ভারতের প্রখ্যাত মুফতি, দারুল উলুম দেওবন্দের স্বনামধন্য মুহাদ্দিস মুফতি সালমান মানসুরপুরী গত ৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম অঞ্চলে ‘মাদরাসা ইসলামিয়া শান্তি মিশন যাত্রা’য় তাকওয়া ও আল্লাহভীতি বিষয়ে এক সারগর্ভ বয়ান পেশ করেন। হযরতের বয়ানের কিয়দাংশ বঙ্গানুবাদ করে পাথেয় টোয়েন্টিফর ডটকম এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
মুফতি সালমান মানসুরপুরী বলেন, আল্লাহ তাআলা আমাদের এক মহান দৌলত দিয়েছেন। ইমানের দৌলত। আর এই ইমানকে আমাদের জীবনে পরিপূর্ণ করাই আমাদের জীবনের প্রধানতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমাদের ইমানের মৌলিক বিষয়গুলোকে মজবুত ও পোক্ত করতে হবে। মৌলিক ইমানের সাথে এই বিশ্বাস রাখাও জরুরী যে, এই নশ্বর দুনিয়ায় আমরা কেউ চিরকালের জন্য নই। কেউ ছিলো না, আর থাকবেও না।
এজন্য আমাদের আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনা এবং তাঁকে ভয় করতে হবে। তার অসন্তোষ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। কারণ, এই দুনিয়ার জীবন শেষ হয়ে যখন পরবর্তীকালের জীবন শুরু হবে সে জীবনের কোনো শেষ থাকবে না। সেখানে যাদের উপর আল্লাহর রাজি-খুশি থাকবেন তারা অনন্তকাল সুখে থাকবে। আর এর বিপরীতে থাকবে অনন্ত দুঃখ-কষ্ট।
হাদীসে আছে যে, কেয়ামতের দিন সাত ব্যক্তি আল্লাহর আরশের ছায়ায় স্থান পাবে। যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেই সাত শ্রেণীর লোকদের মধ্যে এক শ্রেণীর লোক এমন থাকবে যে, যাকে এক সুদর্শনা রমণী তার দিকে আহবান করেছে তখন সে বলেছে, আমি আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করি। এবং গুনাহ থেকে তার কাছেই পানাহ চাই।
আজ আমরা কোথায় আছি ? আমাদের এ কী বেহাল জিন্দেগী। আল্লাহ আমাদের সতর্ক করছেন। তার পথে চলতে বলেছেন। তার পথেই ফিরে আসতে বলছেন। আমাদের ধর্মের সমস্ত কথা পরিপূর্ণ। পুরস্কার ঘোষণায় যেমন পরিপূর্ণ তেমনি শাস্তিদানেত ক্ষেত্রেও তা পরিপূর্ণ ।
আল্লাহ তা’আলাকে যদি সন্তুষ্ট করতে হয় তাহলে শয়তান এবং নফসের খায়েশাত থেকে দূরে থাকতে হবে। আর আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারীমেও বলেছেন, – নিশ্চয় আল্লাহর সমস্ত সাহায্য ঐ সমস্ত লোকদের সাথে যারা মুমিন, মুত্তাক্বী ও মুহসীন।
উর্দু থেকে অনুবাদ, তামীম আব্দুল্লাহ