৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৯ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদ্রাসা জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহের মুহতামিম, বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সভাপতি, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বরেণ্য আলেম, ‘গাছবাড়ির হুযুর’ শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহিব্বুল হক রহ.—এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তিনি বলেন, মাওলানা মুহিব্বুল হক রহ. এ যুগের একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ছিলেন। আদর্শবান মানুষ গড়ার লক্ষ্যে তিনি আজীবন দরস ও তাদরীসের খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। আজ তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন মহৎপ্রাণ আলেমকে হারালাম।
বুধবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, মাওলানা মুহিব্বুল হক বহু গুণে গুণান্বিত একজন শাইখুল হাদীস ছিলেন। তাঁকে হারিয়ে দেশের কওমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। মহান আল্লাহর দরবারে দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে ক্ষমা করে দিয়ে চূড়ান্ত কল্যাণের ফায়সালা করুন।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা মরহুমের সন্তান-সন্তুতি, পরিবারবর্গ, ছাত্র-শাগরেদ, ভক্ত-অনুরক্তদের শোক সইবার ও ধৈর্য্যধারণের তাওফিক দান করুন।
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার (১৭ মে) মাগরিবের নামাজের পর আল্লামা মুহিব্বুল হক রহ. দরগাহ মাদ্রাসায় অবস্থানকালে অসুস্থতা বোধ করেন। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে আল্লামা মুহিব্বুল হক রহ.—এর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। সহধর্মিণী, চার কন্যা ও তিন পুত্রসহ অসংখ্য ছাত্র ভক্ত ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
আগামীকাল বেলা ২টায় আল্লামা মুহিব্বুল হক রহ.—এর জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হবে। তবে জানাযার স্থান এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠ অথবা সিলেট শাহী ঈদগাহে তা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।