পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। মৃত্যুকােলে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডির বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আইয়ুব বাচ্চু। পরে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে সামিয়ক চিকিৎসা প্রদানের পর সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। এছাড়াও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাচ্চুর সংগীতজগতে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। তার কণ্ঠের প্রথম গান- ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।
১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি তার জীবনে সফলতা বয়ে না আনলেও ১৯৮৮ সালে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ তার জীবনে সফলতার দ্বার উন্মোচন করে।
১৯৯১ সালে বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠন করে। এই ব্যান্ড গঠনের পর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ ও ‘তবুও’ বের হয়।
গিটারে তিনি সারা ভারতীয় উপমহাদেশে বিখ্যাত। জিমি হেন্ড্রিক্স ও জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় তিনি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। ঢাকার মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ নামে তার নিজস্ব একটি মিউজিক স্টুডিও রয়েছে।