পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জেদ্দাস্থ কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রীদের অননুমোদিত ও নিষিদ্ধ ব্যাগেজ না আনার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ঘোষণা দিয়েছে।
মোট ৬ ধরণের ব্যাগপত্র বহনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
- দড়ি, অথবা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা ব্যাগ ও লাগেজ
- কাপড় দিয়ে জড়িয়ে বা ঢেকে রাখা, অথবা ছেঁড়া-ফাটা ব্যাগ ও লাগেজ
- গোল, অথবা যেকোনো অস্বাভাবিক আকৃতির ব্যাগ ও লাগেজ, যেগুলো সাধারণ ব্যাগ বা লাগেজের মতো সমান নয়
- বস্তা, অথবা কাপড়ের পোটলার ব্যাগ ও লাগেজ
- অতিরিক্ত লম্বা স্ট্র্যাপ-সহ ব্যাগ। যেগুলো সাধারণত কাঁধের একপাশ দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়
- টিকিটে উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি মালামাল রাখা ব্যাগ ও লাগেজ
১৯৮১ সালে চালু হওয়ার পর থেকে কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সৌদি আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর হয়ে উঠেছে। একই সাথে এটি সৌদি এয়ারলাইন্সের প্রধান কেন্দ্র এবং অপারেশন সেন্টার হিসেবেও কাজ করছে।
এই বিমানবন্দরটি মক্কার প্রবেশদ্বারও, হজ্জ বা ওমরা করতে গেলে এই বিমানবন্দরে হয়েই সাধারণত হাজীরা সৌদিতে প্রবেশ করে থাকেন। বাংলাদেশের সিংহভাহ হজ্জ ও উমরার যাত্রীরাও এই জেদ্দা বিমানবন্দর ব্যবহার করেন।
চার লক্ষ ৬৫ হাজার স্কয়ার মিটার আয়তন নিয়ে এখানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম টার্মিনালটি রয়েছে, যা ‘হজ্জ টার্মিনাল’ নামে প্রসিদ্ধ। বর্তমানে জেদ্দাস্থ এই কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর হিসাবে স্বীকৃত।