পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান সৌদি আরবের কাছে জামিল খাসোগির লাশ চান। এ লাশ দিয়েই তিনি বের করতে চান খুনি।
তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিল? তার দেহ-ই বা কোথায়? সৌদি আরবের কাছে এসব প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন এরদোয়ান। এ খুনের ঘটনা সম্পর্কে তুরস্ক যতটুকু তথ্য-প্রমাণ দিয়েছে তার চেয়ে আরও বেশি তথ্য তাদের হাতে আছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি।
শুক্রবার আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন এ কে পার্টির বৈঠকে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এদিকে খাসোগি সৌদি আরবের বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক বিশেষ দূত। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, ইস্তাম্বুলে খাসোগির দেহ সরিয়ে ফেলার জন্য সৌদি গুপ্তচররা স্থানীয় যে ব্যক্তির হাতে তা তুলে দেয়, তার পরিচয় জানানো দরকার রিয়াদের। সৌদি আরব বৃহস্পতিবার খাসোগি হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত বলে স্বীকার করেছে। এর আগে তারা দুর্বৃত্ত অভিযানে ভুলক্রমে খাসোগিকে মেরে ফেলা হয় বলে জানিয়েছিল। এ খুনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরবসহ দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও সংকটে পড়েছেন। বিশ্বজুড়ে তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবিও উচ্চকিত হয়ে উঠেছে।
এরদোয়ান প্রশ্ন তুলে বলেন, এ হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছে? ১৫ জনের দলটিকে কে তুরস্কে আসার নির্দেশ দিয়েছে? তার লাশ কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে বা ফেলে দেয়া হয়েছে, সৌদি আরবকে তা জানাতে হবে।
১৫ সদস্যের এ সৌদি নিরাপত্তা টিম জামাল খাসোগি খুন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছিল। রোববার সৌদি সরকারি কৌঁসুলির সঙ্গে ইস্তাম্বুলে তুরস্কের কৌঁসুলির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে বলেও জানান এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবেরই রাষ্ট্রীয় টিভিতে এ সৌদি কৌঁসুলিই খাসোগি হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে জানিয়েছেন।
গত ২ অক্টোবর খাসোগি তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকে নিখোঁজ হন। সৌদি আরব প্রথমে তার বিষয়ে কিছু জানার কথা অস্বীকার করে। দীর্ঘ ১৭ দিন পর তারা ওই কনস্যুলেটেই খাসোগি খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে এবং ঘুষাঘুষিতে তিনি মারা যান বলে জানায়। আন্তর্জাতিক মহল এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা একাধিকবার বিবৃতি পাল্টায়। দুর্বৃত্ত অভিযানের কারণে ভুলক্রমে খাসোগি খুন হন বলে তারা ব্যাখ্যা করেন।
খাসোগি খুনের ঘটনাকে সৌদির রাষ্ট্রীয় মদদে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ অ্যাগনেস কলামার্ড। বৃহস্পতিবার আলজাজিরাকে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্বিচারী মৃত্যুদণ্ড পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত।