৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ২০ বছর আগে ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাক থেকে হাজার হাজার শিল্পকর্ম লুট হয়ে যায়, পরে সেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি হিসাবে প্রায় ১৫ হাজার পুরাকীর্তি চুরি বা ধ্বংস করা হয়েছিল। কয়েক হাজার প্রত্নবস্তু পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি অনেক ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের।
রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রে অবস্থিত ইরাক জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশ করলে মনে হতে পারে যেন হাজার হাজার বছর আগে ফিরে গেছেন।
এ জাদুঘরে ২৮টি গ্যালারি ও ভল্টে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পুরনো মেসোপোটেমিয় ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী বহু গুরুত্বপূর্ণ হস্তনির্মিত নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের পরের বছরগুলোতে ইরাক জাতীয় জাদুঘরের মতো বিভিন্ন জাদুঘর থেকে বিপুল প্রত্নসামগ্রী চুরি হয়ে যায়।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১৫ হাজার পুরাকীর্তি চুরি বা ধ্বংস করে লুটেরাদের দল। বিভিন্ন মন্দির, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও জাদুঘর থেকে চুরি হয়ে জায়গা নেয় আন্তর্জাতিক বাজারে।
এছাড়া ২০১৪ সালে আইএস-এর উত্থানের পরও চোরাকারবারিরা অনেক শিল্পকর্ম পাচার করেছিল। গত ৩০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র থেকে চুরি যাওয়া ৯টি প্রত্নবস্তু ফেরত আনার ঘোষণা দেয় ইরাকি প্রেসিডেন্সি।
যার মধ্যে ব্যাবিলনীয়দের সাতটি সীল, হাতির দাঁতের টুকরো এবং মধ্য ব্যাবিলনীয় যুগের একটি মাটির ট্যাবলেট। পুরাকীর্তি ফেরাতে মূল ভূমিকা রাখছে ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেন বলেন, চুরি হওয়া ১৮ হাজার প্রত্নবস্তু ইরাকে ফেরত আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেলে চুরি হওয়া সব জিনিস ফেরত আনা সম্ভব হবে।
ইউনেস্কোর বাগদাদ কার্যালয় জানিয়েছে, উদ্ধার করা ৩০ হাজার চিত্রকর্ম ছাড়াও বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ৪০ হাজারেরও বেশি প্রত্নবস্তু পুনরুদ্ধার করতে ইরাকি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে তারা।