জুননু রাইন
এয়া-ক
আমিও বলে দিতে পারি চোখ কচলানো সকালকে
আমিও জানি অভিমানের নিজের কিছু নেই
একটি তেরসা মনবেদনা ছাড়া
প্রতিদিনই আমাদের উঠোন পার হয়ে
এই সকালটা যায় দুপুরের দিকে
বিকেলের দিকে
সন্ধার দিকে
সকাল বিকেল সন্ধেকে আমি চিনি;
এই সবুজ-
তোমার অবুঝ, তোমার চোখের শিশু…
দেখ, আমি তাকে কখনো মারি নি।
এয়া-খ
তুমি জান না ইছামতি
যখন মানুষের পৃথিবীতে
এক হাঁটু সন্ধা নামে
যখন সমুদ্র খালি পায়ে
হেঁটে হেঁটে বুকে আসে
বাসা বাঁধে- চোখে, দৃষ্টিতে
তখন, আমরা এক হয়ে
আমাদের অন্ধকারে আমাদের বারবার হারাই।
আমরা যে পাহাড়ের ফুল ফোটাতাম
আমরা যে পাখির গলায় গান তুলতাম
তারা এখনও ভোলে নি
ভোলে নি, জীবনের গন্ধ।
ঢেউ তো অনেক এসেছে-
মানুষের বাঁধ ভেঙেছে
জোয়ারে ভেসে গেছে সেইসব কথা।
এয়া-গ
তোমরা কোথায় কোথায় দেখা কর, আমি জানি না
রেললাইনের একা হাঁটা অবাঞ্ছিত গাছের সবুজ
তোমাদের গল্প রাখে?
পায়ে হাঁটা শ্রমিকের ঘামে ভেজা জোসনার পথে
তোমাদের কোন কথা কি লেগে আছে?
তোমাদের কোনো দেখা কখনও কি মাটিতে পড়ে?
অভিমানে,
পেকে,
ঝড়ে?
বৈশাখেরা বয়সে ভীষন হলুদ হলে?
তোমরা কোথায় কোথায় দেখা কর, আমি তো জানি।
আরও পড়ুন: আম্মা সিরিজ | আদিল মাহমুদ