পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাতাসে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেলেও তাতে আতঙ্কিত না হতে রাজধানীবাসীকে পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
সোমবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাসের ঝাঁঝাল গন্ধ পেয়ে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস পেতে থাকে একের পর এক ফোন।
এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পাতায় মধ্যরাতে এক বিশেষ ঘোষণায় বলা হয়, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে৷
“তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে৷ নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পাতায় এই ঘোষণাটি শেয়ার করেছেন।
সংবাদমাধ্যম ‘বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’ তিতাস পরিচালক সেলিম মিয়াকে উদ্বৃত করে জানিয়েছে, নরসিংদী থেকে ডেমরা পর্যন্ত গ্যাসের একটি লাইন বন্ধ ছিল। সেই লাইনটা চালুর পর হঠাৎ করে ইম্প্যাক্টটা একটু বেশি পড়ার ফলে ব্যাপারটি ঘটেছে।
কাজ চলছে জানিয়ে তিতাস পরিচালক বলেছেন, “পুরো পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। আধা ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”
ওদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেছেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে আমাদের টিম পাঠিয়েছি, পাঠাচ্ছি।”
এর আগে রাত ১০টার পর থেকে রামপুরা, বনশ্রী, তেজগাঁও, মহাখালী, রাজাবাজার, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধে উদ্বেগাকূল নগরবাসীর ফোন পাওয়ার কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা। অনেক নাগরিক গন্ধ পাওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে শেয়ার করেও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসে যারা ফোন করছেন, তারা বলছেন, পাইপলাইন থেকে গ্যাস ‘লিক’ করার পর যে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, তা পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করে এই সময়ে গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখার আহ্বানও জানানো হচ্ছে।
সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম