নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি

পাথেয় রিপোর্ট : আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে প্রধান করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি।

এ সেল নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দিয়ে হালানাগাদ রাখবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ছয় সদস্যের এ সেলে থাকছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর একজন কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একজন কর্মকর্তা, বিজিবি/র‌্যাব/আনসার ও ভিডিপি/কোস্টগার্ডের একজন কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একজন কর্মকর্তা।

এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয়, ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তা দেবে এই সেল।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে স্থাপিত এ সেলের জন্য প্রতিনিধি পাঠাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে চিঠি দিয়েছে ইসি। নির্বাচনে মোতায়েন আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে ইসিকে জানাবে এই সেল।

সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেয়া হবে মাঠপর্যায়ে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সারাদেশে নির্বাচনমুখী সুবাতাস বলে দিচ্ছে ৩০ ডিসেম্বরের পর নতুন সরকার গঠনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র দেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস, আবহ, একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে।

যদিও এর আগে আরেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এমনকি বিএনপি, ঐক্যফন্ট, স্বতন্ত্রসহ মহাজোটের বাইরের প্রার্থীরা বার বার ইসিতে গিয়ে তাদের ওপর হামলা-মামলার অভিযোগ করছেন।

মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, সমগ্র দেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস, আবহ, একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বতস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। তারা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। সুতরাং দেশব্যাপী নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে একটা নতুন সরকার গঠন হবে ৩০ তারিখের পরে.. সেটার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটার নিয়ামক হিসেবে আপনারা যে যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করবেন।

২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনে নির্বাচনের দিন সফটয়্যার সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম(ইএমএস), ক্যানডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (আরএমএস) প্রশিক্ষণে এসব কথা বলেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *