পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত হয়েছেন তিন শিক্ষার্থী।
শনিবার দিনগত রাতে মারধরের শিকার দুই ছাত্রকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া।
আহতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সিফাত হাসান (২১) ও মো. রাজু মোল্লা (২৩) এবং মিলন হোসাইন।
এই ঘটনায় বুধবার রাতে মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত শিক্ষার্থী রাজু মোল্লা (২৩)।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু (২৪), সিহাব উদ্দিন (২৪), মাকের্টিং বিভাগের রমজান হোসেন (২৪), ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের হাসিব রায়হান মুন্না (২৪), রাষ্ট্রবিজ্ঞানের রফিকুল ইসলাম ইমু (২৫), নাইমুর রহমান (২৪), ইতিহাস ও সভ্যতার ফারদিন খান (২৪), গণিতের দেলোয়ার হোসেন (২৪), রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ফাত্তাহুর রাফি (২৪), ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের আলভীর ইসলাম (২৪) এবং হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শাওন (২৪)।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় আবাসিক হলের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, ভাংচুর, ক্ষতিসাধন, অবৈধভাবে আটকে মারধরসহ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজহারের বরাতে ওসি আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মামলার বিবাদীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে বাদীর বিরোধ রয়েছে। এর জেরে গত শনিবার রাতে শের-ই বাংলা হলের বাদীর ২০০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন আসামিরা। ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আসামিরা বাদী রাজু মোল্লাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেন।
তারা কক্ষে থাকা ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ ভাংচুর করেন এবং টেনে-হিঁচড়ে ২০০৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটক করেন; সেখানে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর রাজুর কক্ষের অপর দুই শিক্ষার্থী মিলন হোসাইন ও সিফাত হোসাইনকেও ডেকে নিয়ে তারা মারধর করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
পরে হলের প্রভোস্ট তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে মামলায় বলা হয়। ওসি আসাদ আরও বলেন, মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত চলছে। যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীরা তার কাছে কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।