মিয়ানমারের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, ফাঁদে পা দিচ্ছে না বাংলাদেশ

মিয়ানমারের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, ফাঁদে পা দিচ্ছে না বাংলাদেশ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের একের পর এক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনাকে যুদ্ধ বা উস্কানির ফাঁদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসব ঘটনা বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।

সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সে জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনার বিষয়টি জাতিসংঘে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। এটা আমাদের স্পষ্ট কথা। আমরা চাই এটার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে শান্তিপূর্ণভাবে এটা সমাধান করতে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমাদের পক্ষ থেকে যদি সেটা সম্ভব না হয়, আমরা বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে তুলব।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মিয়ানমারের উস্কানি বা কোনো ধরনের ফাঁদে আমরা পা দিতে চাই না। কেননা এই ধরনের কোনো দিকে নিয়ে যেতে পারলে তাদের হয়তো কোনো কৌশলতগত সুবিধা থাকবে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়ে যে সমস্যায় আমরা আছি, এই সমস্যার দায় আমাদের দিকেও চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক মারা গেছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে গত ২০, ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ে। সে কারণে ২১, ২৯ আগস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিনবার সীমান্তের ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে এরপরও সীমান্তে একের পর এক মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার। অবশ্য মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, আরাকান বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। আরাকান বাহিনীর ওপর ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মুহূর্তে কোনোক্রমেই কোনো স্থুল পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমে বলেছেন, মিয়ানমার উস্কানি দিচ্ছে কারণ, সামরিকভাবে বাংলাদেশ জবাব দিলে তাদেরই লাভ। কেননা তখন এই কনফ্লিক্ট দেখিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটি তারা মুছে ফেলতে পারবে। আমাদের উচিত হবে এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখা। বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করা। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি তোলা। প্রয়োজনে নিরাপত্তা পরিষদেও বিষয়টি তোলা যেতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *