নিজস্ব প্রতিবেদক : রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান এখন দোরগোড়ায়। পাপ ও অপবিত্রতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং নিজের আত্মা ও হৃদয়কে সংযত রাখাই এ মাসের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ মাসকে মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। ফলে অন্য স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যায়।
এবার অসাধু ব্যবসায়ীদের সে সুযোগ দিতে চান না সরকারের সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই মাঠে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মিল-কারখানা, পাইকারি ও খুচরা বাজার বিশেষ করে যারা পণ্যের অবৈধ মজুদ রেখে মূল্য বাড়িয়ে দেবে তাদের বিরুদ্ধে চলবে বিশষে অভিযান, নেয়া হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রমজান মাস এলেই পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আগে থেকেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান শুরু করবে অধিদফতর। যেন রমজানে পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সতর্ক থাকেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে রাজধানীর পাইকারি বাজারে অভিযান শুরু হবে। যারা ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুণœ করে বাড়তি মুনাফা আয়ের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অধিদফতর বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) সঙ্গে নিয়ে রমজান মাসে রাজধানীতে প্রতিদিন দুটি অভিযান চালানো হবে। পুরো মাসজুড়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারও অভিযান চলবে।
রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয় এমন সব অভিজাত এলাকায় অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা যাবে না। খাদ্যে ভেজাল জিনিসও দেয়া যাবে না। এজন্য রমজানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ইফতারি তৈরির বিষয়ে বিক্রেতাদের বেশি সতর্ক করব। কেউ এ বিষয়ে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ভেজালপণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্য আদায়সহ ভোক্তার অধিকার ক্ষুণœ হলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।