পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রপ্তানি আয় ও ঈদের সময়ের রেমিটেন্স বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার (ফরেক্স) রিজার্ভের ওপর চাপ ধীরে ধীরে কমছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত কয়েক মাস ধরে প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে আগামী মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বোঝা আরও কমতে পারে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) নেতৃত্বে কো-ফান্ডিং উদ্যোগের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পেতে যাচ্ছে। দুই ধাপে এই তহবিল বাংলাদেশে আসবে। প্রথম ধাপে এপ্রিলে মাসে আসবে ১.০৫ বিলিয়ন ডলার এবং জুনে আরও প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আসবে।
যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে সহায়তা করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার দাবি, রিজার্ভ নিয়ে তারা এই মুহূর্তে কোনও দুশ্চিন্তা করছেন না। আগামী জুন পর্যন্ত যাতে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক থাকে, সেভাবেই ডলার খরচ করা হচ্ছে। আমদানি ব্যয় কম হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।
ঈদ-উল-ফিতরের আগে প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়দের কাছে অতিরিক্ত অর্থ পাঠাতে শুরু করায় ছয় মাস পর মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহে, তারা রেমিট্যান্স হিসাবে আরও ৯৫৮.৬৯ মিলিয়ন পাঠিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসে অবদান রেখেছে।