শিশু রায়ার ইচ্ছা পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

শিশু রায়ার ইচ্ছা পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু মামিজা রহমান রায়ার ইচ্ছা পূরণ করলেন। বৃহস্পতিবার রায়ার বিকালটা ছিল অন্য ধরনের। সম্ভবত তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বিকাল। কারণ এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কল করেন রায়াকে। তার সঙ্গে গল্প করে তার ইচ্ছা পূরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার স্বপ্ন ছিল অটিস্টিক কিশোরী মামিজা রহমান রায়ার। তার এমন ইচ্ছার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছিলেন তার এক শিক্ষিকা। সেই ভিডিও বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রায়া নামের ঐ কিশোরীর সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গণভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে গল্প করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে রায়া।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও ফোনে কথা বলতে পেরে দারুণ খুশি রায়া। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরে ফেসবুক পেজ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রায়া ও তার শিক্ষিকা হাসিনা হাফিজ একটি ভিডিও আপলোড করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রায়ার শিক্ষিকা হাসিনা হাফিজ তার আপলোড করা ঐ ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এখানে আমরা বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও আপলোড করেছিলাম। রায়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছিল—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন তার সঙ্গে কথা বলেন। পরম করুনাময় অসীম আল্লাহর দয়ায় আমরা আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটু আগে ফোন করেছিলেন। তিনি অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। রায়া বলেছে, লকডাউনের সিচুয়েশন আরেকটু নরমাল হয়ে গেলে রায়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসায় গিয়ে দেখা করবে।’

ভিডিও বার্তায় রায়া তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি, আই লাভ ইউ। আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। আমি তাকে বলেছি, লকডাউন শেষ হলে তোমার বাসায় গিয়ে গল্প করব, দেখা করব। আই লাভ ইউ বলব। রায়া এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানায় ও সবার কাছে দোয়া চায়।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *