পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হনুমান মুসলমান ছিলেন, এমন মন্তব্য করে বিতর্ক জড়িয়েছেন বিজেপির নেতা বুক্কাল নবাব। এ নিয়ে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। এর আগে হনুমানকে ‘দলিত’ বলে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিতর্কিত মন্তব্যকারী বুক্কাল নবাব উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বিধান পরিষদীয় সদস্য। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শুক্রবার ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বুক্কাল বলেন- ‘হনুমান কারও একার নন। গোটা দুনিয়া তার ভক্ত। সব ধর্মের মানুষই তাকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করেন। তবে আমার বিশ্বাস হনুমান আসলে মুসলিম ছিলেন। সেই জন্যই মুসলমানদের মধ্যে রহমান, রমজান, ফরমান, জিশান, কুরবান, ইমরান, সুলতান, সুলেমান নামের প্রচলন রয়েছে। দেখবেন নামগুলো হনুমানের সঙ্গে সঙ্গে মিলে যায়! অন্য কোনও ধর্মে এমন নাম শুনেছেন কখনও!’
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বুক্কাল নবাব। গত বছর জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
বুক্কাল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে রাজ্যটির বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নেতা ছিলেন। সেসময় অযোধ্যায় বাবরি মসজিদস্থলে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি রুপি অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে হনুমানকে দলিত বলে উল্লেখ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তা নিয়েও চলে প্রবল বিতর্ক। ওই মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করে একটি হিন্দুত্ববাদী সংস্থা।
হনুমান হলেন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি রামের একনিষ্ঠ ভক্ত। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে। রামায়ণ বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয়। রামায়ণের মূল চরিত্র রাম যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে তার অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তিনি বায়ুদেবতার পুত্র। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত।রামায়ণের কাহিনী অনুসারে হনুমান সীতাকে উদ্ধারের জন্য লংকায় অভিযান চালান।