৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
এতে বলা হয়, পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিবিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৫ জন গ্রামে বাস করে, যা মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৬ জন শহরে বাস করে, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। দেশে মোট জনসংখ্যার ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৭৮ জন মুসলিম আর ১ কোটি ৫২ লাখ ৮৭৬ জন অমুসলিম।
সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে ঢাকা বিভাগে, ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন। যা মোট জনসংখ্যার ২৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে বরিশাল বিভাগে, ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৮১৮ জন। যা মোট জনসংখ্যার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এছাড়া দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। পুরুষ মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, নারী ৫০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুমারি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট এরর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।